আরেক মামলায় জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া তিন আইনজীবীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোসাদ্দেক মিনহাজ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালত আদেশে আইনজীবী শাকিলা ফারজানার ৪৮ ঘণ্টা এবং অন্য দুই আইনজীবী মো. হাসানুজ্জামান ও মো. মাহফুজ চৌধুরীর ৩২ ঘণ্টা করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রাম জেলা সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হাশেম প্রথম আলোকে বলেন, হাটহাজারী থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় তিন আইনজীবীকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে র্যাব। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা গ্রেপ্তার তিন আইনজীবীর রিমান্ড বাতিল এবং এ মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার না দেখানোর আবেদন করেন। আদালত তা নাকচ করেন।
গ্রেপ্তার তিন আইনজীবী গতকাল রোববার চট্টগ্রামের বাঁশখালীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাজ্জাদ হোসেনের আদালতে জবানবন্দি দেন। বাঁশখালী আদালতের সরকারি কৌঁসুলি বিকাশ রঞ্জন ধর বলেন, আসামিরা টাকা নেওয়া ও দেওয়ার কথা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন। এতে বোঝা যায় যে পরোক্ষভাবে তাঁরা জঙ্গিদের টাকা দিয়েছেন। মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তদন্তের স্বার্থে জবানবন্দিতে আসা তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করা যাচ্ছে না। কোন ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়েছে, তা জানতে চাইলে সরকারি কৌঁসুলি তিনটি ব্যাংকের নাম বললেও শাখার ঠিকানা জানাতে পারেননি।
আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, র্যাব ভয়ভীতি দেখানোর কারণে জবানবন্দি দিয়েছেন তিন আইনজীবী। যদিও আসামিদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে র্যাব ও রাষ্ট্রপক্ষ।
১৮ আগস্ট রাতে ধানমন্ডি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাকিলা ফারজানা, মো. হাসানুজ্জামান ও জজকোর্টের আইনজীবী মো. মাহফুজ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের র্যাব-৭। তাদের বাঁশখালী থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরের দিন চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
র্যাবের দাবি, ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’ নামের চট্টগ্রামভিত্তিক নতুন জঙ্গি সংগঠনের জন্য সংগৃহীত এক কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে গ্রেপ্তার তিন আইনজীবী এক কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়েছেন। এর মধ্যে আইনজীবী শাকিলা দুই দফায় ২৫ লাখ ও ২৭ লাখ করে মোট ৫২ লাখ টাকা, আইনজীবী মো. হাসানুজ্জামান ৩১ লাখ এবং মাহফুজ চৌধুরী ২৫ লাখ টাকা দিয়েছেন।