বলিউড অভিনেত্রী ও সাবেক পর্নো তারকা সানি লিওনকে বাংলাদেশে কোনো অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছে হেফাজতে ইসলাম। সানি লিওনকে পতিতা আখ্যায়িত করে হেফাজত ওই অনুষ্ঠান ও তার বাংলাদেশে আগমন বাতিল করতে সরকার, প্রশাসন ও আয়োজকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
রোববার এক যুক্ত বিবৃতিতে হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা কাতেব মাওলানা ইলিয়াস ওসমানী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ হাজার বছরের ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্যসমৃদ্ধ অলি-আউলিয়ার পুণ্যভূমি। সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের এ দেশে নগ্নতা, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনাকে সমাজের মূলধারার মানুষ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে। পাশ্চাত্য ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে বেপরোয়া যৌনতা ও অনাচারের ফলে যেভাবে এইডস প্রভৃতি প্রাণঘাতী রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের সমাজ সে তুলনায় এখনো অনেক নিরাপদ রয়েছে।”
হেফাজতের নেতারা বলেন, “একশ্রেণীর অসৎ ব্যবসায়ী ও চরিত্রহীন কথিত সাংস্কৃতিক কর্মী ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধকে পদদলিত করে, আবহমান বাংলার জাতীয় সংস্কৃতির বিপরীতে নির্বিচারে বিদেশী সংস্কৃতি আমদানির মাধ্যমে সমাজ ও সামাজিক কাঠামো ধ্বংসের অপতৎপরতায় লিপ্ত। শয়তানের দোসর এসব নীতিভ্রষ্ট লোকই সানি লিওন নামের কথিত বলিউড অভিনেত্রী, যাকে গোটা দুনিয়া আন্তর্জাতিক পতিতা হিসেবেই চেনে, ঘটা করে বাংলাদেশে আনার আয়োজন করছে।”
সানি লিওনের অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হেফাজতের নেতারা বলেন, “নর্তকী আমদানি করে মসজিদের শহর ঢাকায় কোনো পতিতার অনুষ্ঠান হতে দেয়া যাবে না। অবিলম্বে এই নাচের অনুষ্ঠান ও পতিতা সানি লিওনের আগমন মুলতবি করতে হবে। অন্যথায় অনুষ্ঠানস্থলে ঢাকার সর্বস্তরের তাওহিদি জনতা কর্তৃক গণপ্রতিরোধসহ পরবর্তী যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্টরা দায়ী থাকবেন।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারতের একটি দৈনিকের অনলাইন ভার্সনে খবর প্রকাশিত হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠান করতে বাংলাদেশে আসছেন সানি লিওন। ইন্দো-কানাডিয়ান এই পর্নো তারকার সঙ্গে একই মঞ্চে গান গাইবেন পাকিস্তানের গায়ক আতিফ আসলাম।
ঢাকার বসুন্ধরা কনভেনশন হলে আয়োজন-পরিকল্পিত শো-এর টিকিটের সর্বনিম্ন দাম ধার্য করা হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকা।