ট্রান্সফার উইন্ডো শুরুর পর থেকেই গুঞ্জন চলছিল বার্সেলোনা ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিতে যাচ্ছেন পেদ্রো রদ্রিগেজ। কিন্তু ম্যানইউ নয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন চেলসিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। পেদ্রোর ব্যাপারে কাতালান ক্লাবটির সঙ্গে ২১.১ মিলিয়ন পাউন্ডের এক সমঝোতায় পৌঁছেছে হোসে মরিনহোর ক্লাব।
বার্সার মূল দলে পেদ্রোর অভিষেক ২০০৮ সালে। কিন্তু ন্যু ক্যাম্পে আছেন ২০০৫ থেকেই। পুরোটা সময়জুড়েই সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন লিওনেল মেসিকে। এবার ন্যু ক্যাম্প থেকে বিদায়বেলায় পেলেন তারকা সতীর্থের শুভকামনা। ৪ বছরের জন্য চেলসিতে যোগ দেওয়া পেদ্রোকে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেসি তুলে আনলেন স্মৃতিকথাও, ‘কয়েক বছর ধরে একসঙ্গে থেকে দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি আমরা। পেদ্রো, তোমার জীবনের নতুন অধ্যায়ের জন্য শুভকামনা থাকল।’
সব কিছু ঠিক থাকলে ১ সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে নতুন ঠিকানা চেলসিতে যোগ দিতে পারেন পেদ্রো। বার্সার এই তারকার আগে ঘানার ডিফেন্ডার বাবা রহমানকে দলে নেয় স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের ক্লাবটি।
বার্সেলোনার জার্সিতে ২০০৮ সালে অভিষেকের পর ৩২৬ ম্যাচ খেলেছেনে পেদ্রো। এই সময়ে ব্লুগ্রেনাদের হয়ে ৯৯ গোল করেছেন তিনি। গত মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে ৫০ ম্যাচ খেলেন স্প্যানিশ তারকা। ২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোলও করেছিলেন ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
মরিনহোর অধীনে খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন পেদ্রো, ‘মরিনহো যেখানেই কোচিং করিয়েছেন সেখানেই ট্রফি জিতেছেন। তার অধীনে খেলতে তর সইছে না। আশা করছি, নতুন ক্লাবের হয়ে অনেক ট্রফি জিতব।’ চেলসিতে যোগ দেয়ার পেছনে আরেকটি কারণ উল্লেখ করেন পেদ্রো, ‘আমি ফ্যাব্রিগাসের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা দুজন খুবই ভালো বন্ধু। জানতাম যে, নিজের বাসায় যেমন থাকি এখানে এসে সেরকমই অনুভব করব।’ চেলসিতে যোগ দেয়ার পেছনে এটিও অন্যতম প্রধান কারণ।
কয়েকদিন আগে স্প্যানিশ সুপার কাপে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে হেরেছে বার্সেলোনা। তবে এই টুর্নামেন্টে হারলেও এর আগে উয়েফা সুপার কাপে জয় পেয়েছে লুইস এনরিকের দল। ওই ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে ৫-৪ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে গোল করেছিলেন পেদ্রো।