ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী টাইফুন গনির প্রভাবে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক হাজার বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানা গেছে। আজ শনিবার দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন। এদিকে আগামীকাল রবিবার গনি দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জ সাকিশিমায় আঘাত হানতে পারে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানায়, টাইফুন গনি শনিবার সকালে উত্তরাঞ্চলীয় কাগাইয়ান প্রদেশ থেকে ১৪০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে অবস্থান করছিল। এ সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৯৫ কিলোমিটার (ঘন্টায় ১২১মাইল)। ফিলিপাইনে বছরে গড়ে ২০টি ঝড় আঘাত হানে। টাইফুন গনিকে নিয়ে চলতি বছর ফিলিপাইনে ৯টি ঝড় আঘাত হানল। গনি তাইওয়ানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাইওয়ানে চলতি সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দূরবর্তী দ্বীপ থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে এবং ত্রাণ সরবরাহের জন্য সৈন্যদেরকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গভর্নর ইউস্তাকুইয়ো ব্রেসামিন জানান, উত্তরাঞ্চলীয় আবরা প্রদেশে দুই দিনের টানা ভারী বর্ষণে একটি প্রধান নদী দুকূল উপচে পড়েছে। তিনি ডিজেটএমএম রেডিওকে বলেন, বৃষ্টিপাতের কারণে আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আবরা নদীটি সাগরে পরিণত হয়েছে। এর ফলে কমপক্ষে ৬টি পরিবার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে আটকা পড়েছে এবং তাদেরকে উদ্ধার করা হবে। আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
জাতীয় দুর্যোগ পরিষদের নির্বাহী পরিচালক আলেক্সান্ডার পামা বলেন, বেঙ্গুয়েত ও মাউন্টেন প্রদেশের উঁচু ভূমিতে মাটি ও পাথরে চাপা পড়ে ৫ জন প্রাণ হারিয়েছে। পার্শ্ববর্তী ইলোকোস নর্টে প্রদেশে ঝড়ে এক লোকের ওপর একটি বড় গাছ ভেঙ্গে পড়লে তাতে চাপা পড়ে সে মারা যায়। দুর্যোগ পরিষদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্যা দুর্গত এলাকায় দুই জন নিখোঁজ ও চার জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, শনিবার ১ হাজার ২০০ লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।