‘রাজনৈতিক সরকারের অধীনে যথাসময়ে নির্বাচন হবে’

‘রাজনৈতিক সরকারের অধীনে যথাসময়ে নির্বাচন হবে’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক সরকারের অধীনে যথাসময়ে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা।

বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তারা একথা বলেছেন। আলোচনায় অংশ নেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের বীরেন শিকদার ও এম আবদুল লতিফ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘১২ মার্চ বিএনপির সমাবেশে আবারও সেই তত্ত্বাবধায়কেরই দাবি তোলা হলো। যে যা বলুক ভাই আমার সোনার হরিণ চাই’ তারা যেন এ নীতিতে চলছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারকে কোনো আলটিমেটাম দেবেন না। কারও হুমকি-ধামকিতে সরকার ভীত নয়। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিশ্বাস করে।’

তিনি বলেন, ‘৩ বছর ধরে দেখেছি, সংসদের সিট রক্ষার আন্দোলন, বাড়ি রক্ষার আন্দোলন। আর এখন দেখছি, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর আন্দোলন।’

তিনি বিরোধী দলকে সংসদে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলুন। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি পরিহার করে সংসদে আসুন। কেউ আসুক না আসুক সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’

বীরেন শিকদার বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক নয়, রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছেন, তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচন করবেন না। অথচ তিনি একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বুঝতেন না। আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই তিনি এ ব্যবস্থা বুঝেছেন।’

এম আবদুল লতিফ সরকারকে এক হাজার টাকার নোট না ছাপাতে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, এক হাজার টাকার নোটের কারণে অনেকে বাড়িতে টাকা রেখে দিচ্ছেন। ফলে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি অর্থমন্ত্রীকে তদন্ত করে দেখতেও অনুরোধ জানান তিনি।

এছাড়া লাগামহীনভাবে বাড়িভাড়া বাড়ার কারণে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন এবং তারা আন্দোলনে নামছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণে একটি নীতিমালা তৈরি করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তা পর্যবেক্ষন করা উচিত।

এরপর ডেপুটি স্পিকার বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সংসদের বৈঠক মুলতবি করেন।

বাংলাদেশ