চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নরসিংদীতে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে ৬ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে ৪ জনকে হত্যা করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ডাকাত সন্দেহে নরসিংদীর মনোহরদীতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ২ জনকে।
জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া-গোমস্তাপুর সড়কের মকরমপুরে একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ৪ ডাকাত ডাকাতির চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই মোটরসাইকেল আরোহী চিৎকার দেয়। এতে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডাকাতদের গণপিটুনি দেয়। এতে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং বাকি তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের রাত ৯টার দিকে গোমস্তাপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। এ ঘটনায় এক অটোভ্যানচালককে আটক করা হয়েছে। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
নিহত ৪ জনের মধ্যে ২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কর্ণখালি মিজাপুর গ্রামের ডাকাত সর্দার গোলাম রাব্বানী (৫০) ও ভোলাহাট উপজেলার আদমপুর গ্রামের শফিকুলের ছেলে টুটুল (৩৪)। ঘটনাস্থল থেকে একটি অটোভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অটোভ্যানে করে ডাকাতরা ঘটনাস্থলে এসেছিল বলে স্থানীয়রা জানায়।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আহমেদ বলেন, স্থানীয়রা বলছে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ডাকাতির সময় ডাকাতদের হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়। তবে আসলেই তারা ডাকাত কী না তা তদন্ত করে দেখা হবে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে নরসিংদীর মনোহরদীর চরমান্দিয়া গ্রামে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে ২ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার রাতে ৭-৮ জন যুবক ডাকাতির উদ্দেশে ওই গ্রামের আশপাশ দিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। এ সময় এলাকাবাসী টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ওই ২ জনকে ধরে পিটুনি দেয় এলাকাবাসী। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।