প্রথম ছবি ‘আয়নাবাজি’তে কাজ করার পর চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ জন্মেছে নাবিলার। চলচ্চিত্রের প্রতি যা একটু-আধটু ডর-ভয় ছিল তাও নাকি দুর হয়ে গেছে তাঁর। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে তেমনটাই জানালেন নাবিলা।
আয়নাবাজি ছবিটির পরিচালক অমিতাভ রেজা। এই ছবিতে নাবিলার চরিত্রের নাম নাম হৃদি। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী।
ছবির শুটিংয়ের পর নিজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে নাবিলা বললেন, ‘এখন কিন্তু ভালোই লাগছে। ছবিটিতে কাজ করার পর চলচ্চিত্রে কাজ করার আকর্ষণ আর আগ্রহ জন্মেছে। যদি ভালো গল্প আর ভালো নির্মাতা হয় তাহলে অবশ্যই চলচ্চিত্রে কাজ করতে আপত্তি নাই। তবে বাধ্যতামূলক হতে হবে এমন কিন্তু নয়। আয়নাবাজি ছবিতে কাজ করে ছবির প্রতিই একটা ভালো লাগা তৈরি হয়েছে। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। সিনেমা যে বড় একটা ক্যানভাস তাও কিছুটা বুঝতে শিখছি। কোনো কাজ শুরুর আগে সাধারণত আমার মধ্যে অন্যরকম একটা সিরিয়াসনেস কাজ করে। কিন্তু আয়নাবাজি ছবির কাজ করতে গিয়ে শুরুতে নার্ভাসনেস কাজ করেছে। আর এখন তো সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে গেছে।’উপস্থাপক নাবিলা ‘আয়নাবাজি’তে অভিনয়ের পর চলচ্চিত্রে আগ্রহ বেড়েছে। ছবি: সংগৃহীত
নাবিলাকে সবাই উপস্থাপিকা হিসেবেই চেনেন। অনুরোধে তাঁকে নাটকে অভিনয় করতেও দেখা গেছে। মনে মনে তাঁর ইচ্ছে ছিল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে সেই ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেনও নাবিলা। নাবিলার সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। কাজ করেছেন প্রথম চলচ্চিত্রের। ‘আয়নাবাজি’ ছবির কাজ প্রায় শেষের দিকে।
নাবিলা আরও বলেন, ‘একটি সুন্দর ছবিতে অভিনয় করার ইচ্ছে অনেক দিনের। আমি তা পেয়ে গেছি বলতে পারেন। কিছুদিন কাজ করলেই শুটিং শেষ হয়ে যাবে। শুনেছি, এই মাসের ২৬ তারিখের মধ্যেই ক্যামেরাও ক্লোজড হবে।’
নাবিলা এও বলেন, ‘‘মনে মনে যে ধরনের ছবিতে অভিনয়ের স্বপ্ন দেখতাম আয়নাবাজি ঠিক তাই। আমার চাওয়া ছবিতে অভিনয় এত তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে, তা আসলে ভাবিনি। আমি তো গতানুগতিক ধারার ছবিতে অভিনয় করতে চাইনি। আর তা পারবও না। আমার সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা যা আছে, সে জায়গা থেকে ‘আয়নাবাজি’ খাপে খাপে মিলে গেছে। গল্পটা তো অসাধারণ।’ ’