জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, দেশের সর্বত্র অধঃপতন। সমাজে শৃঙ্খলা নেই। বিচারহীনভাবে গোটা দেশ চলছে। এ অবস্থায় মানুষ বাস করতে পারে না। এ অবস্থা বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘শিশু হত্যা ও নারী নির্যাতন’ এর প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানবন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
এরশাদ বলেন, “আমরা কোথাও নিরাপদ নই। একের পর এক হত্যা হচ্ছে। কেন এই অবস্থা? কারণ, দেশে আইনের শাসন নেই। সুশাসন নেই। মানুষের বাঁচার অধিকার নেই। মেয়েদের স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার নেই। শিশু হত্যা ও নারী নির্যাতন বেড়েই চলছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। গণতন্ত্রহীনতার কারণেই দেশের আজ এই অধঃপতন।”
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আর শিশু হত্যা চলবে না। নারী নির্যাতন চলবে না। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রতিবাদের ঝড় তুলতে হবে। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে।”
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বা সাবেক প্রেসিডেন্ট হয়ে আজ এখানে আসিনি। এসেছি মানবিক কারণে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। সমাজের এই অনচার-অবিচার কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।”
এরশাদ প্রশ্ন রেখে বলেন, “রাজন হত্যার আসামিরা কিভাবে দেশে ছেড়ে পালালো।” একমাত্র জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসলেই দেশ এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মানবন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এস এম ফয়সাল চিশতী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, যুগ্ম-মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর শিকদার লোটন, নুরুল ইসলাম নুরু প্রমুখ।