জাতীয় শোক দিবসে কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দলীয় কর্মী নিহতের ঘটনায় বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তাসহ দলটির সাত নেতার ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। একইসঙ্গে লাইসেন্স বাতিলকৃত আগ্নেয়াস্ত্র জব্দেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জন নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় সোমবার দুপুরে অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ বেলাল হোসেন।
বাতিলের খাতায় রয়েছে বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মোমিনুর রহমান মোমিজের দু’টি, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজের তিনটি, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবুর একটি, মিরপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দারের একটি, উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দারের একটি, যুবলীগ নেতা মধুর একটি আগ্নেয়াস্ত্র।
এছাড়া বরখাস্ত হওয়া আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তার ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। তবে তাকে এখনও আইনের আওতায় আনা হয়নি।
এদিকে, যুবলীগ কর্মী সবুজ হত্যার ঘটনায় রোববার ২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট এলাকায় শোক দিবসের কর্মসূচি শেষে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সবুজ (২৪) এক কর্মী নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। পরে তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিদ্যুৎ নামে এক কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।