‘নতুন কাস্টমস আইন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে’

‘নতুন কাস্টমস আইন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে’

নতুন কাস্টমস আইন বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে নতুন কাস্টমস আইadsacasন বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যৌথভাবে ১৭-২০ আগস্ট ‘নতুন কাস্টমস আইন বাস্তবায়ন’ শীর্ষক জাতীয় এই কর্মশালার আয়োজন করে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অনেকটা অবাক হয়েছি যে, বাংলাদেশের শুল্ক ব্যবস্থাপনা এখনো ১৯৬৯ সালের আইন দিয়ে চলছে। এ আইনে অনেক সংশয় রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে আমরা এ আইনটি সংশোধনের চেষ্টা করছি। নতুন আইনে এসব সংশয় থাকবে না। তবে সংশোধিত আইনটির মূল উদ্দেশ্য পুরাতন আইনকে বিলুপ্ত করা নয়, বরং প্রযুক্তি ও ব্যবসা সহায়ক একটি কাস্টমস আইন করা। এ আইন বাস্তবায়িত হলে ব্যবসা সংশ্লিষ্ট সবাই লাভবান হবেন। একই সঙ্গে দেশের বাণিজ্য সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব খাতে সংস্কার করা হচ্ছে। সংস্কারের অংশ হিসেবে জাতীয় কাস্টমস আইনকে যুগোপযোগী করা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘এনবিআর-এফবিসিসিআই যৌথভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি, নতুন কাস্টমস আইনটি বাস্তবায়ন হলে ব্যবসা সংশ্লিস্ট সব জটিলতা দূর হবে।’

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জাপানের রাষ্টদূত মাসাতো ওতানাবে বলেন, ‘জাপান পিপিপির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। এর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্র।’

স্টকহোল্ডার ও কাস্টমসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চার দিনব্যাপী ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় কাস্টমসের মাঠ পর্যায়ের ২৬ কর্মকর্তা, এফবিসিসিআইসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তাসহ মোট ৪০ জন অংশ নেন।

Featured বাংলাদেশ