হদিস মিলল ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ বিমানের

হদিস মিলল ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ বিমানের

হদিস মিলল ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ বিমানের। আশঙ্কা সত্যি করে দেশটির পশ্চিমাঞ্চল পাপুয়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকাতেই ভেঙে পড়ে ট্রিগানা এয়ার-এর বিমানটি। সরকারিভাবে বিমান sfxvদুর্ঘটনার এই খবর স্বীকার করেছে ইন্দোনেশিয়া।
রবিবার ৫৪ জনকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জয়াপুরা থেকে ছাড়ে বিমানটি। কিছুক্ষণের মধ্যেই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ। অকটেভ জেলার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা দাবি করেন, তাঁরা একটি বিমান পাহাড়ের জঙ্গলে পড়তে দেখেছেন। সেই মতো তল্লাশি শুরু করে দেশটির জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। অবশেষে বিকেলে উদ্ধার হয় বিমানের ধ্বংসাবশেষ। ইন্দোনেশিয়ার বিমান পরিবহণ দপ্তরের ডিরেক্টর সুপ্রাসেত্য জানিয়েছেন, ‘ট্যাংগক পর্বতে ভেঙে পড়ে বিমানটি।’ তবে যাত্রীদের মধ্যে কেউ বেঁচে আছেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।

ট্রিগানা এয়ার-এর ডিরেক্টর বেনি সুমেরেয়ান্তোর কথায়, ‘বিমানের নিখোঁজের খবর পাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই আমরা পাপুয়া এলাকায় একটি বিমান পাঠাই তল্লাশির জন্য। কিন্তু খারাপ আবহওয়ার জন্য কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি।’

এই নিয়ে গত এক বছরে তিন থেকে চার বার বড়সড় বিমান দুর্ঘটনা হল ইন্দোনেশিয়ায়। ২০১৪-র মার্চে ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স-এর বিমান MH370। সম্প্রতি সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, মাঝপথে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। এরপর গত ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবেয়া থেকে সিঙ্গাপুরগামী এয়ার এশিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৬২ জন যাত্রীর। চলতি বছরের জুলাইয়েও একটি বিমান দুর্ঘটনায় ১০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয় ইন্দোনেশিয়ায়।

আন্তর্জাতিক