আরএম ফ্যাশনে প্রায় ৪শ’ শ্রমিক কর্মরত ছিল যারা আজ বেকার। জানা যায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে জুলাই পর্যন্ত ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০ টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বেকার হতে হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিককে।
তেমন কোনো গার্মেন্টেই নতুন নিয়োগ হচ্ছে না। বেশিরভাগ কারখানার সামনেই ঝুলছে “কর্মখালি নাই”। মূলত শেয়ার্ড বিল্ডিংয়ে যেহেতু কারখানা না রাখার নিয়ম শুরু হয়েছে তাই বন্ধ হয়ে গেছে এসব কারখানা। কিছু কারখানার আবার আর্থিক দৈন্যের কারণে মালিকপক্ষকে গার্মেন্ট বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
টেক্সটাইল গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন সূত্রে জানা যায়, একইভাবে বন্ধ হয়ে গেছে লিরিক, বনী সহ দেশের প্রায় ৫০ টি গার্মেন্ট কারখানা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেক্সটাইল গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা।
তপন সাহা বলেন, অনেক কারখানাকে অ্যাকর্ড থেকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর তা দেখে অনেক মালিক ভয়েই কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন। কারখানা যেমনই হোক, সমস্যা যেমনই থাকুক না কেন কাজতো ছিলো! কিন্তু গত সাত মাসে এ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারখানার সংখ্যা প্রায় ৫০টি কারখানার প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক বেকার এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পানে তাকিয়ে আছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে সহস্রাধিক শ্রমিক নিহত হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ক্রেতাদের সংগঠন হিসেবে গড়ে ওঠে অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স। শেয়ার্ড বিল্ডিংয়ের কারখানাকে অর্ডার না দেয়াসহ নানা সিদ্ধান্ত নেন ক্রেতারা। তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে অগ্নিনিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশে বেশ কিছু কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।