বিরাট কেহেলির বাড়িতে হামলা

বিরাট কেহেলির বাড়িতে হামলা

ভারেতর স্বাধীনতা দিবসে গল টেস্টে জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ১৭৬ মাত্র। কিন্তু তা আর হয়ে উঠলো না। পুরো ম্যাচে আধিপত্য রেখেও শেষবেলায় এসে হারতে হলো কোহেলি বাহিনীকে।sfdasfasfd

দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ইনিংস গুটিয়ে গেছে ১১২ রানেই। ৬৩ রানের হার। সর্বোচ্চ ৩৬ এসেছে রাহানের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ শিখর ধাওয়ানের। অমিত মিশ্র করেছেন ১৫, ইশান্ত শর্মা ১০। বাকি সাত ব্যাটসম্যানের মিলিত সংগ্রহ ১৯। অতিরিক্ত খাত থেকে এসেছে ৪। হেরাথের ৭ উইকেটের পাশাপাশি থারিন্দু কৌশলও কম যান না। ৪৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দেওয়ার অন্যতম অনুষঙ্গ তিনিও।

ভারতের এমন পরাজয়ের কারণে টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহেলির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে উগ্র সমর্থকরা। এমন খবরই প্রকাশ করেছে জি-নিউজ।

দিল্লীতে বিরাটের বাড়ির সামনে থেকে ম্যাচ হারার পর পর সমর্থকরা টিল ছুড়ে জানালা ভাংচুর করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এদিকে, দিনেশ চান্ডিমাল বীরের মতো এক ইনিংস খেলে মোড় ঘুরিয়েছিলেন গল টেস্টের। রঙ্গনা হেরাথ আজ তাঁর ঘূর্ণির ক্যারিশমায় গলে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলেন লঙ্কান গৌরব। প্রথম দুই দিন শেষেই যে টেস্টে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে অনেকে ভারতের নাম বলে দিয়েছিলেন, সেই টেস্টেই কি না শেষ অবধি জয়ী শ্রীলঙ্কা! চান্ডিমাল আর হেরাথই তো নায়ক লঙ্কানদের অসাধারণ এই জয়ের।

তৃতীয় দিনে চান্ডিমালের ১৬২ রানের অনবদ্য ইনিংসের ওপর ভর করেই দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭৫ রান তুলতে পেরেছিল শ্রীলঙ্কা। যে সংগ্রহ লঙ্কানদের এনে দেয় ১৭৫ রানের লিড। জয়ের জন্য ১৭৬ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাট করতে নেমেই হেরাথ নামের এক বাঁ হাতি স্পিনারের ঘূর্ণি জাদুতে এলোমেলো ভারতীয় ব্যাটিং। শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি কিংবা আজিঙ্কা রাহানে, হেরাথের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারলেন না কেউই। চতুর্থ ইনিংসে গলে ব্যাট করাটা কঠিন হবে—এটা জানা ছিলই, কিন্তু ভারতীয় ব্যাটিং যে চাপের মুখে এমন তাসের ঘর হয়ে উঠবে, সেটা বোধ হয় অভাবনীয়ই ছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের।

দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ইনিংস গুটিয়ে গেছে ১১২ রানেই। ৬৩ রানের হার। সর্বোচ্চ ৩৬ এসেছে রাহানের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ শিখর ধাওয়ানের। অমিত মিশ্র করেছেন ১৫, ইশান্ত শর্মা ১০। বাকি সাত ব্যাটসম্যানের মিলিত সংগ্রহ ১৯। অতিরিক্ত খাত থেকে এসেছে ৪। হেরাথের ৭ উইকেটের পাশাপাশি থারিন্দু কৌশলও কম যান না। ৪৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দেওয়ার অন্যতম অনুষঙ্গ তিনিও।

তৃতীয় দিন বিকেলেই ১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানে লোকেশ রাহুলের উইকেটটি হারিয়ে বসেছিল ভারত। চতুর্থ দিন সকালে নিয়মিত বিরতিতেই আসা-যাওয়া চলল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। হেরাথের বলে একে একে ফিরেছেন রাহুল, রোহিত, ইশান্ত, রাহানে, ঋদ্ধিমান, হরভজন ও অশ্বিন। কুশলের শিকার ধাওয়ান, কোহলি আর অমিত মিশ্র। এই দুই স্পিনারকে নিয়ে ম্যাচের প্রথম দিনই টেলিভিশন ধারাভাষ্যে উচ্চ ধারণা পোষণ করেছিলেন ভারতীয় গ্রেট সুনীল গাভাস্কার। শঙ্কা ছিল তাঁর চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া নিয়েও। গলে গাভাস্কারের সব শঙ্কাকে লঙ্কানরা যে এভাবে সত্যে পরিণত করবেন—সেটা কী তিনি ভেবেছিলেন?

খেলাধূলা