ভারতের নদিয়ায় দাদা বাড়িতে ইমরুল

ভারতের নদিয়ায় দাদা বাড়িতে ইমরুল

সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেট মাঠে বাংলাদেশ দলের সাফল্য ঈর্ষন্বীয় বটে। দলটার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেটারদেরও কদর বেড়েছে অনেকগুণ। ক্রিকেট দুনিয়া ও বাইরের জগতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ভালোই। যার একটা রুপ দেখলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস দেশের সীমানার বাইরে গিয়েও। মায়ের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় image_135481_0গিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

কলকাতা থেকে চিকিৎসার কাজ শেষে বৃহস্পতিবার ইমরুল গিয়েছেন নিজের পূর্বপুরুষের ভিটা ভারতের নদিয়া জেলার করিমপুর ২ ব্লকের সাহেবপাড়া গ্রামে। যেখানে তার দাদা বাড়ি। ছেলেবেলা থেকে শুনে আসছিলেন বাপ-দাদার ভিটার কথা। কিন্তু কখনও যাওয়া হয়নি তার। এবার বাবা, মা ও এক বন্ধুকে নিয়ে ঘুরে এলেন নিজেদের বাস্তু-ভিটা।

ইমরুলের এই সফরের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ভারতের জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজারে। পত্রিকাটি লিখেছে, ইমরুলের আসার খবর শুনে শুক্রবার সকাল থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে বজলু রহমানের (ইমরুলের কাকা) বাড়ির সামনে। করিমপুর জামতলা নবারুণ সঙ্ঘের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রেগুলেটেড মার্কেটের মাঠে ব্যাট হাতে স্থানীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতেও নেমে পড়েন তিনি। বেশ কিছু পরামর্শও দেন।

ইমরুলের দাদা কায়েম বিশ্বাসের জন্ম সাহেবপাড়াতেই। পঞ্চাশের দশকে কায়েম চলে যান পূর্ব পাকিস্তানের মেহেরপুরে। ইমরুলের বাবা বানি বিশ্বাসের জন্ম অবশ্য পূর্ব পাকিস্তানে। কিন্তু ১৯৭১ সালে যুদ্ধ বাধলে কায়েম বিশ্বাস সপরিবার ফিরে আসেন সাহেবপাড়ায়। বছরখানেক বাদে পরিবারটি ফেরে বাংলাদেশে। তারপর থেকে ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ হলেও আর এ দেশে আসা হয়নি তাদের।

সাহেবপাড়াতেই থাকেন ইমরুলের কাকা বজলু রহমান বিশ্বাস। বজলু বলেন, “কলকাতায় এসে সাগর (ইমরুলের ডাকনাম) ফোনে বলল গ্রামে আসতে চায়।”

ইমরুল আনন্দবাজারকে বলেছেন, “সেই ছেলেবেলা থেকে করিমপুর, সাহেবপাড়ার নাম শুনে আসছি। এই প্রথম এখানে আসার সুযোগ হলো। দাদু বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। এই এলাকার মানুষের আন্তরিকতা, ক্রিকেট নিয়ে এমন উন্মাদনার কথা আমারও মনে থাকবে।

Featured খেলাধূলা