বগুড়ার নন্দীগ্রামে দেবরের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে বিধবা ভাবী ৬মাসের অন্তসত্বা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি অন্তসত্বা বিধবা ও তার শাশুরী স্বীকার করলেও থানায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় গ্রাম্য মাতব্বররা জোর প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। এনিয়ে বেশ কয়েকবার গ্রামে সালিশি বৈঠক বসে। মাতব্বররা সন্তান জন্মের পর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে । স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের টাকুরাই গ্রামের মৃত হাবিল উদ্দিনের ছেলে কাদের মিয়ার সাথে ১৫বছর পূর্বে একই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মোমেনা (৩২) এর বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩টি সন্তান জন্ম নেয়।
গত ৩ বছর পূর্বে মোমেনার স্বামী কাদের মারা যায়। তার মৃত্যুর পর বিধবা মোমেনা ৩ সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই থাকতো। তখন থেকেই বিধবা ভাবীর উপর কু-দৃষ্টি দেয় লম্পট দেবর আব্দুল হাকিম (২৮)। একপর্যায়ে গত ছয়মাস পূর্বে বিধবা ভাবীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় দেবর আব্দুল হাকিম। ফলে ওই বিধবা গর্ভবতী হয়। গ্রামের লোকজনদের মাঝে অন্তসত্বার বিষয়টি জানাজানি হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের অভিভাবকরা দফায় দফায় নিরসনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে গ্রাম্য মাতব্বররা সালিশি বৈঠকের উদ্যোগ নিলে সেটাও ভেস্তে যায়।
এখন গর্ভবতী বিধবা সু-বিচার পাওয়ার আশায় দারে-দারে ঘুড়ছে। অন্তসত্বা বিধবা মোমেনা সু-বিচারের দাবি করে বলেন, দেবর হাকিম আমাকে জোর করে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে। সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি। বর্তমানে আমি এখন ছয়মাসের গর্ভবর্তী। এই সন্তান জন্ম নিলে কি হবে তার পরিচয়। মোমেনা বলেন, সন্তান জন্মের পর দেবর হাকিমের সাথে আমার বিয়ে দেবে বলে চাচা শ্বশুর ও ফুফা শ্বশুর আমাকে আশ্বস্থ্য করেছে। আদৌ সে আমাকে বিয়ে করবে কি’না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। অন্যদিকে, লম্পট আব্দুল হাকিম অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি এর কিছুই জানিনা।
আমাকে ইচ্ছে করে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে হাকিমের মা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার ছেলে হাকিমের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের কারণেই বড় ছেলের বউ গর্ভবতী হয়েছে। এপ্রসঙ্গে থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) শওকত কবির বলেন, এধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।