জমিতে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগের ফলে গ্রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ফুল “শাপলা”

জমিতে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগের ফলে গ্রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ফুল “শাপলা”

আষাঢ় শ্রাবণ মাসে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই গ্রামগঞ্জের খাল-বিল, ডোবা-নালা ও জলাশয় জম্ম নিত প্রচুর পরিমানে শাপলা। সকালের ঘুম থেকে উঠে সূর্য্যরে আলোর সাথে ফুটান্ত শাপলা ফুলের সৌন্দর্য্যে চোঁখ জুড়িয়ে যেত। সৌন্দর্য্যে মুদ্ধ হয়ে শাপলাকে জাতীয় ফুল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।sdfgf

এ মৌসুমে মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল, পুকুর ও জলশায়ে ভাসতে দেখা যেত শাপলা। সচারচার এখন আর শাপলা ফুলের দেখা পাওয়া যায় না। বর্ষাকাল থেকে শুরু করে শরতকালের শেষ পর্যন্ত এ শাপলা দেখা যেত। মানুষের খাদ্য তালিকায় সবজি হিসেবেও যুক্ত ছিল এ শাপলা। এমনকি এক শ্রেণীর দরিদ্র শিশু কিশোর খাল-বিল থেকে শাপলা তুলে এনে বাজারে বিক্রি করে যে অর্থ পেত তা দিয়ে তাদের সংসারের অভাব মেটানোর চেষ্টা করত। কয়েক বছর আগে বর্ষা এবং শরতকালে খাল-বিলে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকত গোলাপি ও সাদা রংগের শাপলা ফুল।

ঐ সময় সকালে জলাশয়ের দিকে চোখ পড়লে রং বে-রংঙের শাপলার রূপ দেখে চোখ জুড়িয়ে যেত। এখন জমিতে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে খাল-বিল ও জলাশয় থেকে শাপলা হারিয়ে যেতে বসেছে। শাপলা ফুল সাধারণত গোলাপি ও সাদা রঙের হয়ে থাকে। লাল ও সাদা রঙের শাপলা বেশ পুষ্টিকর সুসাধু সবজি। এতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম রয়েছে। শাপলার ভেষজ গুনও কমও নয়। তবে লাল রঙের শাপলা ঔষধি কাজে ব্যাবহৃত হয়। তাই শাপলা চুলকানি ও আমাশয় রোগের জন্য বেশ উপকারী। আবার শাপলা ফুলের ফল দিয়ে সুস্বাদু খৈ ভাজা যায়। যেটি গ্রামগঞ্জে ঢ্যাপের খৈ বলে পরিচিত। মাটির নীচের মূল অংশকে শালুক বলা হয়। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে খাল-বিল, হাওড়-বাওর, জলাশয়ের পানি যখন কমে যায় তখন শাপলার শালুক তুলে খাওয়া যায়।

গবেষকরা মনে করেন চাষের জমিতে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগের ফলে জমির উর্বরতা কমে যায়। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে খাল-বিল, হাওড়-বাওর, জলাশয় ও পুকুরের জমি ভরাট করে বাড়ি নির্মান করে বসতি স্থাপন করায় দিন দিন শাপলা বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ