গম্ভীর-কোহলির কাছে অসহায় শ্রীলঙ্কা

গম্ভীর-কোহলির কাছে অসহায় শ্রীলঙ্কা

‘গম্ভীর-কোহলি’ রেখা ভেদ করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পরিসংখ্যান বলে যখনই তাদের বিপক্ষে জ্বলে উঠেছে এই জুটি; জয় পেয়েছে ভারত। এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলির শতকে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল ৫০ রানে হারিয়েছে ৯৬’র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।

ভারত ইনিংস: ৩০৪/৩ (ওভার ৫০)
শ্রীলঙ্কা ইনিংস: ২৫৪ (ওভার ৪৫.১ )
ফল: ভারত ৫০ রানে জয়ী

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ সফল গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলির জুটি। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে উত্থান এই দ্বৈরথের। বিশ্বকাপের ফাইনালে সচিন টেন্ডুলকার ও বীরেন্দ্র শেবাগ বিদায় নেওয়ার পর লঙ্কানদের সামনে দেওয়াল হয়ে দাঁড়ায় এই জুটি। মূলত তাদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শেষপর্যন্ত বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ভারত।

বিশ্বকাপের পর সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজেও মাহেলা জয়াবর্ধনের দলের বিপক্ষে সাফল্য পেয়েছে এই জুটি। না বলে; বলা উচিৎ জয় পেয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কার বেঁধে দেওয়া ৩২০ রানের লক্ষ্য এই জুটির সুবাদে সহজেই টপকে যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

এশিয়া কাপেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। গৌতম ও কোহলির কাছে রীতিমতো দিশেহারা ছিলো লঙ্কান বোলাররা। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। দলীয় ১৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন সচিন টেন্ডুলকার। ব্যক্তিগত ৬ রানে লাকমালের বলে এক্সটা কাভারে জয়াবর্ধনের হাতে ধরা পড়েন লিটল মাস্টার।

সচিনের বিদায়ের পর দীর্ঘসময় সাফল্যের মুখ দেখেনি শ্রীলঙ্কান বোলাররা। তবে ১৬.৩ ওভারে ফিল্ডারের ব্যর্থতায় উইকেট পাননি প্রসন্ন। তার বলে লংঅনে ক্যাচ তুলেন গৌতম। কিন্তু ভারতীয় ওপেনারের ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি চান্দিমাল। ফলাফল ৪২.৫ ওভার পর্যন্ত গৌতম-কোহলির ব্যাটিং তান্ডবে নাকাল হয় শ্রীলঙ্কা।

শেষদিকে একাই দুই উইকেট তুলে নেন মারুফ। ভারতের রানের চাকা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে দেওয়া গৌতম- কোহলি জুটিকে গুঁড়িয়ে দেন তিনি। ১১৮ বল খেলে কাঁটায় কাঁটায় শতক করার পর সাজঘরে ফেরেন গৌতম। আর ক্যারিয়ারে দশম শতক পূর্ণ করার পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন সহঅধিনায়ক কোহলি। সাতটি চারের সাহায্যে ১০৮ রান করেন ডানহাতি এই ক্রিকেটার।

সফল জুটির বিদায়ের পর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির হার না মানা ৪৬ ও সুরেশ রায়নার অপরাজিত ৩০ রানের কল্যাণে তিন উইকেট হারিয়ে ৩০৪ রান করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জবাবে খেলতে নেমে ভারতের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য অতিক্রম করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।

লঙ্কানদের ওপর প্রথম আঘাত হানেন ইরফান পাঠান। তার বলে কোহলির হাতে ক্যাচে দেন দিলশান (৭)। দিলশানের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারা। এ জুটিতে আসে ৯৩ রান। ইরফানের দ্বিতীয় শিকার হন জয়াবর্ধনে। ৫৯ বল খেলে ৭৮ রান করেন লঙ্কান অধিনায়ক। ১০টি চার ও ২টি ছয়ের মার ছিলো তার ইনিংসে।

এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন সাঙ্গাকারা। জয়াবর্ধনের পর তৃতীয় উইকেটে চান্দিমালের সঙ্গে ২৮ ও চতুর্থ জুটিতে থিরিমান্নের সঙ্গে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। তবে ব্যক্তিগত ৬৫ রানে অশ্বিনের বলে সাঙ্গাকারা আউট হওয়ার পরই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষপর্যন্ত ২৫৪ রান করতে পারে তারা। ৩২ রান খরচায় চারটি উইকেট নেন ইরফান পাঠান। এছাড়া তিনটি করে উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও বিনয় কুমার।

খেলাধূলা