‘নারী নির্যাতন, শিশু ও ব্লগার হত্যার প্রতিবেদন দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যর্থ’

‘নারী নির্যাতন, শিশু ও ব্লগার হত্যার প্রতিবেদন দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যর্থ’

নারী নির্যাতন, শিশু ও ব্লগার হত্যার তদন্ত শুরু হলেও সেই সব তদন্তের প্রতিবেদন দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ড. হামিদা হোসেন।yuiy

বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ’ আয়োজিত স্থানীয় উন্নয়নে তরুণ সমাজের সম্পৃক্তকরণের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

হামিদা হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের যুব সমাজের ওপর বর্তমানে ঘৃণ্য চাপ পড়ছে। পরীক্ষায় কিভাবে পাশ করা যাবে, কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যাবে এ নিয়ে তারা চিন্তা চেতনায় মগ্ন থাকে। কিন্তু মেধার বিকাশ কিভাবে ঘটানো যায় সেই চিন্তা তাদের নেই বললেই চলে। কারণ এখন টাকা থাকলেই অনায়াশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সম্ভব।

‘বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ’, রাজনৈতিক নেতাদের এমন বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আসলে কি বাংলাদেশে কোন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি আছে? বিশেষ করে সমাজ ও পরিবারে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা হয় কিনা তা নিয়ে আমার সন্দহ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নারীরা তাদের প্রাপ্য স্বাধীনতাটুকু পাচ্ছে না।’

একই অনুষ্ঠানে কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. কায়কোবাদ বলেন, ‘আগে মালয়েশিয়া থেকে লেখাপড়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা বাংলাদেশে আসতো। কিন্তু সেখানে আজ আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার জন্য মালয়েশিয়া যাচ্ছে। দেশে শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে এ ধারাটি পরিবর্তন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষার মান ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ শিক্ষানীতি পরিবর্তনের ফলে শিক্ষার মান ৪.২ শতাংশ থেকে বর্তমানে ২ শতাংশে নেমে এসেছে।’

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। আলোচনা সভায় আরো অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহাবুবা নাসরিন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহাবুব হোসেন মজুমদার, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাফি রতন, এভারেস্ট বিজয়ী এমএ মুহিত, যমুনা টিভির বিশেষ সংবাদ দাতা মাহাফুজ মিশু প্রমুখ।

বাংলাদেশ