শেখ রাসেলকে হারিয়ে শীর্ষে মুক্তিযোদ্ধা

শেখ রাসেলকে হারিয়ে শীর্ষে মুক্তিযোদ্ধা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে জয়ের ধারায় ফিরেছে মুক্তিযোদ্ধা। মঙ্গলবার দশজনের দল নিয়েও তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে। এ জয়ে পয়েন্ট তালিকায় ফের শীর্ষে উঠেছে কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের দল।

সাত ম্যাচে পাঁচ জয়, এক হার ও ড্রয়ে মুক্তিযোদ্ধার সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। চার জয় ও দুই ড্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আবাহনী। অবশ্য এক ম্যাচ হাতে রয়েছে আকাশী-নীলদের। অন্যদিকে টানা তৃতীয় হারে সাত ম্যাচে শেখ রাসেলের সংগ্রহ আট পয়েন্ট।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধমার্ধে প্রধান্য বিস্তার করে শেখ রাসেল। ছয় মিনিটে দলের নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার বুকোলার শট ক্রস পিচে লেগে ফিরে না আসলে এগিয়ে যেতো পারতো শেখ রাসেল। ১১ মিনিটে প্রথম আক্রমণ শানায় মুক্তিযোদ্ধা। অধিনায়ক মামুনুলের থ্রু থেকে মিঠুনের শট অল্পের জন্য নিশানাভেদ করতে পারেনি। বিরতির আগে মামুনুল নিজেই সুযোগ নষ্ট করেন। ৪৪ মিনিটে ডি বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে মামুনুলের ফ্রিকিকটি ক্রসপিচে প্রতিহত হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমে ওঠে। বিশ্রামের চার মিনিট পরই শেখ রাসেল রক্ষণভাগ মুক্তিযোদ্ধা স্ট্রাইকারদের দুটি প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে। মামুনুলের ফ্রি কিক গোল লাইন থেকে কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন বাপ্পি হাসান মুরাদ। অন্যদিকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডি সুজা লিমার কর্নার কিকে মিঠুনের হেড সাইডবারে লেগে ফিরে আসলে সেটি ক্লিয়ার করেন শেখ রাসেলের ঘানাইয়ান আব্বাস ইনুশা।

৫৬ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন শেখ রাসেলের নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার নাফতালি। ছোট বক্সে বুকোলার বাড়িয়ে দেওয়া বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন নাফতালি। ৭২ মিনিটে দশজনের দলে পরিণত হয় মুক্তিযোদ্ধা। মাঝমাঠে ইয়ামিন মুন্নাকে ফাউল করলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বহিষ্কার হন ডিফেন্ডার রেজাউল করিম। ৭৭ মিনিটে ম্যাচের সহজ সুযোগটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় মুক্তিযোদ্ধা। সানডের বাড়ানো বলে গোলমুখে রানার ক্রস অবিশ্বাস্যভাবে বাইরে মারেন মামুনুল ইসলাম। পরের মিনিটেই মুক্তিযোদ্ধাকে গোল করে এগিয়ে দেন সানডে। মামুনুলের থ্রু পাসে আগুয়ান গোলরক্ষক বিপ্লবকে কাটিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। এ গোলের সুবাদে পাঁচ গোল নিয়ে এককভাবে শীর্ষগোলদাতা হিসেবে উঠে এসেছেন সানডে। বাকি সময়ে গোল পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় হার মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় শেখ রাসেলকে।

মোহামেডানের বিপক্ষে ড্র ও ব্রাদার্সের বিপক্ষে হারের পর ফের জয়ে ফেরায় সন্তোষ প্রকাশ করেন করেন মুক্তিযোদ্ধা কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। তবে প্রথমার্ধে দল ভালো না খেলায় হারের ভীতিও পেয়ে বসেছিলো মানিককে, ‘প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষ মিডফিল্ডে প্রাধান্য ধরে রেখে বেশ চাপিয়ে খেলে। ওই সময় মনে হচ্ছিলো আজ পয়েন্ট হারাতে যাচ্ছি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমি এক স্ট্রাইকারকে উঠিয়ে দিয়ে মাঝমাঠে শক্তিবৃদ্ধি করি যেটা কাজে দিয়েছে। এছাড়া বিশ্রামের পর ছেলেরা ভালো খেলায় পুরো পয়েন্ট পেয়েছি।’

অন্যদিকে টানা তৃতীয় হারে খেলোয়াড়দের ওপর হতাশ ও ক্ষুব্ধ শেখ রাসেল কোচ মারুফুল হক, ‘আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আর কোন সম্ভাবনা নেই। ছেলেদের মাঝে শিরোপা জেতার আকাঙ্খা নেই। এখন আশা ছেড়ে দিতেই হচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে আমরা তৃতীয়ও হতে পারবো না। তবে গোলটা ছিল পরিষ্কার অফ সাইড।’

খেলাধূলা