প্রথম মুভি হিসেবে কেমন চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চান? যে কোনো নবাগত নায়িকার কাছে এ প্রশ্ন করা হলে তিনি হয়ত উত্তর দিবেনÑ প্রথাগত রোমান্টিক। হ্যা, প্রথাগত রোমান্টিক ছবিতে প্রেমময় আবেদন নিয়ে হাজির হওয়াটাই নবাগত নায়িকার কাম্য। প্রথম ছবিতে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করার আগ্রহ থাকে না ক্যারিয়ারে কথা চিন্তা করেই। কিন্তু সিবা আলি খান তা চাননি। তিনি চেয়েছেন এক্সপেরিমেন্ট। তার জবানিতে, ‘মুভিতে কাজ করার ইচ্ছে খুব একটা ছিল না। কিন্তু দ্য স্টোরি অব সামারা মুভির গল্প শুনে রোমাঞ্চিত হই। গল্পটা এতই ভালো লাগে যে অভিনয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলি। তাছাড়া আমি বরাবরই সায়েন্স ফিকশন, ফ্যান্টাসি মুভির ভক্ত।’
হ্যা, ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’ সিবা অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ২৮ আগস্ট। হরর এবং সায়েন্স ফিকশন এর মিশেলে তৈরি হয়েছে ছবিটি। এখানে রোমান্স মূখ্য নয়। তবে আলটিমেটলি কোনো ঘরানার নয়, নিজেকে পরিপূর্ণ একজন অভিনেত্রী হিসেবে দেখতে চান সিবা আলি খান। সে কারণেই পরবর্তী মুভি পছন্দ করতে গিয়ে রোমান্টিক-অ্যাকশন ঘরানাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া সিবা’র দ্বিতীয় চলচ্চিত্র পরিচালনা করবেন আশিকুর রহমান আশিক। আর সব কিছু ঠক থাকলে সিবার বিপরীতে অভিনয় করবেন আরেফিন শুভ।
চলচ্চিত্রে অভিনয় করার আগে র্যাম্প মডেলিং এবং টিভি নাটকে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ছিল সিবার। কিন্তু মুভিতে কাজ করতে এসে পুরোই বিস্মিত হয়েছেন। সিবা বলেন, ‘জানতাম মুভি অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু সেটা যে এত বড় তা এর আগে বুঝে উঠতে পারিনি। নিজেকে অভিনয়ের জন্য শুধু প্রস্তুত করলেই হয় না। নাচ, ফাইট জানতে হয় চলচ্চিত্রে ভালো করতে হলে। প্রথম মুভি করতে এসেই আমাকে এসবের ঠিকঠাক তালিম নিতে হয়েছে। বলতে পারেন প্রথম মুভি করতে এসেই আমি এ অঙ্গনে কাজ করার জন্য নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে শুরু করি।’
সিবার সেই প্রস্তুতি শেষ। এখন ঢাকাই মুভিতে নিয়মিত ভালো কাজ করার স্বপ্ন দেখছেন এই নবাগতা। তার জন্য সবার কাছে দোয়াও চেয়েছেন। সিবা বলেন, ‘ঢাকাই মুভি এখন ভালো হচ্ছে। আশা করি দর্শক আগের মতো হলে গিয়ে মুভি দেখবেন। আর আমিও নতুন নতুন ভালো মুভিতে কাজ করার সুযোগ পাবো।’