স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘ব্লগার নিলয় নীল হত্যায় জড়িতদের যথেষ্ট প্রমাণ ও ক্লু আমাদের হাতে রয়েছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে গেয়েছে। তাদের বিচারকাজ চলছে আদালতে। অভিজিৎ হত্যার খুনিদের ধরতে এফবিআই কাজ করছে। ওয়াশিকুর হত্যায় জড়িত দুজনকে ধরে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। নিলয় হত্যায় জড়িতদেরও শিগগিরই পাকড়াও করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, যারা অন্য ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যার যার ধর্ম সে পালন করবে। কিন্তু অন্য ধর্মকে নিয়ে কটূক্তি করার এখতিয়ার কাউকে দেওয়া হয়নি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা মিলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিলয়ের জিডি না নেওয়া খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এখনো কীভাবে বহাল তবিয়তে আছেন- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ব্যাপক অভিযান চালানো হবে। খুলনা ও রংপুর বিভাগে দুটি আঞ্চলিক অফিস করা হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক জেলায় একটি করে বড় আকারে অফিস করা হবে।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অস্ত্র নেই। তাই তাদের অভিযান চালানোর সময় সীমিত আকারে অস্ত্র সরবরাহ করা হবে। তার আগে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, পুরান ঢাকা থেকে সব ধরনের মাদক বিস্তার রোধে কাজ করতে হবে। এজন্য শুধু পুলিশ নয়, সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, গত দুই মাসে এই বিভাগে যোগদান করার পর ৩ কোটিরও বেশি টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। সামনে আরো বেশি উদ্ধার করা সম্ভব।