মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য কারও সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনো কিছুই এখনো ঠিক হয়নি। কাজেই কেউ যেন কাউকে কোনো টাকা না দেয়।
আজ মঙ্গলবার মালয়েশিয়া থেকে সেদেশের সরকারি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসেন। সফররত মালয়েশিয়ায় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কর্মীদের বেতন-ভাতাসহ সুযোগ-সুবিধার বিভন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এরমধ্যে বাংলাদেশ থেকে কী পরিমান লোক নিবে এবং কবে নিবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কাজেই কেউ যেন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মাধ্যমে আগেভাগেই মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে প্রতারিত না হন সে দিকে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাই।নুরুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়ায় মোট শ্রমিকের চাহিদা ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন। তারা কৃষিক্ষেত্র ও বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে লোক নিবে। তিনি জানান, সফররত প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়া ফিরে যাওয়ার পরই বাংলাদেশ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল দেশটিতে সফরে যাবেন। ওই সময়েই বি টু বি সমঝোতা সই হবে বলে জানা গেছে।
মালয়েশিয়ায় নতুন করে লোক নেওয়ার ব্যাপারে প্রভাবশালী মহল সক্রিয় আছেন এবং তাঁরা আবার নানা দেনদরবার করছেন এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘নোবডি ক্যান বাই মি।’ তিনি আরও বলেন, আমি চাই না বাংলাদেশের লোকজন ওখানে গিয়ে পড়ে থাকবে। সে কারণে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে লোক পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) মুস্তফা বিন ইব্রাহিমের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল রবিবার দুপুরে ঢাকা সফরে আসেন। ওই দিন রাতে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রার নেতাদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন।
সোমবার সকালে বিএমইটির ডিজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর বিকেলে রাজধানীর দারুস সালামে বাংলাদেশ কোরিয়া গারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করে প্রতিনিধি দলটি। বুধবার তাদের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।