নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের(বিপিএল) পরিবর্তিত নিয়মে কপাল পুড়ছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। অর্থপ্রাপ্তির দিক দিয়ে আগের দুই আসরের চেয়ে বড় ধরণের ধ্বস নামছে দেশি ক্রিকেটারদের উপর।
বিপিএলের কমিটির সচিব ইসমাইল হায়দার জানিয়েছেন, দেশি ক্রিকেটার জন্য সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্ধ থাকবে ৩০ লক্ষ টাকা।
তিনি বলেন, ‘গত দুই আসরের বাজে অভিজ্ঞতার কারণে অর্থাৎ অর্থ কেলেঙ্কারি এবং ম্যাচ ফিক্সিং আটকানোর উদ্দেশ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি) এবং বিপিএল কমিটি।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা দিয়ে একজন ক্রিকেটারকে কেনার পর দেখা যাচ্ছে, তারা সেই অর্থের কিছুই পাচ্ছে না। তাই কোটি টাকা থেকে কিছু না পাওয়ার চেয়ে কম হলেও পুরোটা পাওয়া ভালো।’
বিপিএল কমিটির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পরিবর্তিত নিয়মে এক একটি দল ৪.৪ কোটি টাকার বেশি ক্রিকেটার কেনার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন না। একই সঙ্গে একজন বিদেশী ক্রিকেটারদের জন্য বাজেট থাকবে সর্বোচ্চ ৭০,০০০ মার্কিন ডলার।
ইসমাইল হায়দার বলেন, ‘প্রথমে বিদেশী ক্রিকেটার প্রতি সর্বোচ্চ ৫০,০০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বিসিবি তা বাড়িয়ে ৭০,০০০-এ নিয়ে আসে।’
এর কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কোন দল যদি ক্রিস গেইলকে দলে ভেড়াতে চায়, সেক্ষেত্রে তিনি কখনই ৭০,০০০ মার্কিন ডলারের নিচে খেলতে আসবেন না। আর আমরাও ২০,০০০ ডলারের জন্য তাকে হারাতে চাইবো না।’
এদিকে পরিবর্তিত মূল্য নির্ধারণে সম্মতি প্রকাশ করেছেন ২০১৩ আসরের রানার আপ দল চিটাগাং কিংসের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উচ্চ মূল্যে ক্রিকেটার কেনার পর কিছুই না পাওয়ার চেয়ে কম মূল্যের পুরোটা পাওয়া যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।’
তবে দেশি ক্রিকেটারদের জন্য ৩০ লক্ষ, যেখানে বিদেশিদের জন্য ৭০,০০০ ডলার। তাতে দেশি ক্রিকেটারদের জন্য নগণ্য হয়ে গেলো কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে রিয়াদ বলেন, ‘এটা বোর্ডের ব্যাপার। কম হলেও পুরোটা পাওয়া যাবে, এটাই বড় ব্যাপার।’
বিদেশি ক্রিকেটার ক্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন। আগের দুই আসরে একটি দল সর্বোচ্চ আটজন বিদেশি ক্রিকেটার কিনতে পারলেও এবার তা কমিয়ে সাতজনে আনা হচ্ছে।