মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধারকৃত আরো ১৫৯ বাংলাদেশী নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১টার দিকে বান্দরবানের ঘুনধুম সীমান্ত দিয়ে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। এর মধ্যে নরসিংদীর ৭৮ জন, চট্টগ্রামের ১৮ জন, হবিগঞ্জের ১৭ জন, কিশোরগঞ্জের ১৩ জন, নারায়ণগঞ্জের ১৪ জন, ফরিদপুরের ১২ জন, শরীয়তপুরের ৩ জন, নওগাঁর ২ জন, নাটোরের ১ জন ও বরিশালের ১ জন বাসিন্দা রয়েছে। এদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৬ জন।
বান্দরবানের ঘুনধুম সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও মিয়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগের মধ্যে সোমবার সকালে এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠক শেষে বাংলাদেশি ১৫৯ অভিবাসীকে ফেরত দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থ দফায় মোট ৫০১ বাংলাদেশীকে ফেরত আনা হলো।
বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবির ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল সকাল সাড়ে ১০টায় মিয়ানমারে যান। প্রতিনিধি দলে বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল এম.এম আনিসুর রহমান পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অপর দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মিয়ানমার ইমিগ্রেশন এন্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ইউ স নাইং। বৈঠক শেষে বেলা ১ টায় ১৫৯ জনকে নিয়ে বিজিবি প্রতিনিধি দল ফিরে আসেন।
বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল এম.এম আনিসুর রহমান জানান, ফেরত আনা ১৫৯ বাংলাদেশীকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ৬টি বাস যোগে তাদেরকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। বিজিবি কমান্ডার জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আইএমও এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি এর মাধ্যমে তাদেকে নিজ নিজ বাড়ীতে পৌছে দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত গত ৩০ জুলাই তাদের ফেরত আনার কথা ছিল। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তা দু’বার পিছিয়ে আজ সোমবার তাদের ফেরত আনা হলো। মিয়ানমার নৌবাহিনী গত ২১ মে তাদের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ৯৩৫ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে ৫০১ জন বাংলাদেশী। তাদেরকে পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনা হয়।