ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাতে তুরস্কে ৬টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া মার্কিন সামরিক বাহিনীর ৩০০ সদস্যকেও দেশটিতে পাঠানো হয়েছে। মূলত তুরস্কের ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটিতে অবস্থান করবেন এসকল সদস্যরা। এছাড়া যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করে ইনসিরলিক থেকে আইএস অবস্থানে বিমান হামলা চালানো হবে। গত মাসে তুরস্ক তার সামরিক ঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার পর এই প্রথম বিমানবহর ও সেনা পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্স।
এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানিয়েছে, ইতালির অ্যাভিয়ানো বিমানঘাঁটি থেকে একটি ’ক্ষুদ্রাংশ’ তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। সহায়ক আরো কিছু সরঞ্জমাদি পাঠানোর কথা উল্লেখ করলেও সেগুলোর নাম জানায়নি পেন্টাগন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে,’৬০ জাতির আন্তর্জাতিক জোটের সদস্য হিসেবে ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কারণেই জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক।’
ইনসিরলিক বিমানঘাঁটি ব্যবহার করে তুর্কি ও মার্কিন সেনারা সহজেই প্রতিবেশী সিরিয়ায় আইএস যোদ্ধাদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারবে। এর ফলে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র অনেক বেশি সুবিধা পেল। এর আগে উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে এসে এ ধরণের হামলায় অংশ নিত মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো।
আইএসকে হটাতে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে এতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে আইএসের বিপক্ষে হামলা জোরদার করেছে তুরস্ক। বর্তমানে সিরিয়ায় বিভিন্ন আইএস স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করছে তুর্কি বিমানবাহিনী। এর তীব্রতা বাড়াতেই গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইনসিরলিক ঘাঁটি ব্যবহারের বিষয়ে একমত হয় দেশটি। সিরিয়া সীমান্তের নিকটবর্তী এই ঘাঁটি আইএসের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।