বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবি মনে করে, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু আনার সঙ্গে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের একটি সম্পর্ক আছে।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বিবিসিকে বলছেন, গরু চোরাচালান বন্ধ হলেই সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
ভারতের কড়াকড়ির কারণে সীমান্ত দিয়ে গরু আসা অনেক কমে গেছে উল্লেখ করে জেনারেল আহমেদ বলেন, ‘বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) চায় এটা যেন আরো কমে যায়। গরু আনতে বাংলাদেশের কেউ যেন সীমান্ত অতিক্রম না করে সেই বার্তা আমি দিতে চাই।”
সম্প্রতি অবৈধ পথে বাংলাদেশে গরু প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে ভারত। এর পর থেকেই বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম বেড়ে যায়।
এমন প্রেক্ষাপটে রোববার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং মন্তব্য করেন, বাংলাদেশে গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি খুশি।
দীর্ঘদিন ধরে একটি অভিযোগ প্রচলিত আছে, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ এই গরু-বাণিজ্যে বিএসএফ ও বিজিবির এক শ্রেণীর অসাধু সদস্য জড়িত।
আজিজ আহমেদ বলেন, “বিজিবির কেউ যদি গরু কিংবা অন্য কোনো ধরনের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ চাকরিচ্যুতির হুঁশিয়ারি দেয়া আছে। এই অপরাধে আমি বিজিবির বহু সদস্যকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করেছি।”