চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় অস্ত্র ও চোরাচালান মামলার সাক্ষী বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ইমামুজ্জামানের অসমাপ্ত জেরা শুরু করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
বুধবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীর আইনজীবী মনজুর আহমেদ আনসারী সাক্ষীকে জেরা শুরু করেন।
গত ১৬ ফেব্র“য়ারি অস্ত্র ও চোরাচালান উভয় মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার পর বিসিআইসির সাবেক এই চেয়ারম্যানকে জেরা শুরু করেছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। সেদিন একজন আইনজীবী জেরা করার পর আদালত এ মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেছিল।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল গভীর রাতে বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন সিইউএফএলের সংরক্ষিত জেটি ঘাটে খালাসের সময় ১০ ট্রাক সমপরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে দুটি মামলা করে।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ এ মামলায় কারাগারে আটক ১১ আসামিকে বুধবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।
এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- এনএসআইর সাবেক দুই প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, সাবেক পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) শাহাবুদ্দিন, সাবেক উপ-পরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, সিইউএফএল এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসিন উদ্দিন তালুকদার ও সাবেক জিএম (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, চোরাচালানি হাফিজুর রহমান ও দীন মোহাম্মদ।
এ মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রভুক্ত অপর দুই আসামি সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব নুরুল আমিন ও উলফা কমান্ডার পরেশ বড়–য়া পলাতক আছেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দেওয়া সাক্ষ্যে ইমামুজ্জামান আদালতকে জানান, ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় শিল্পমন্ত্রণালয় থেকে আলাদা তদন্ত কমিটি করতে বললে তখনকার শিল্পমন্ত্রী নিজামী বিষয়টি এড়িয়ে যান।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর বহু আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।