বিরোধী দলের বড় জনসভার একদিন পর ঢাকার সমাবেশে বিপুল কর্মী-সমর্থক জড়ো করে নিজেদের শক্তি তুলে ধরতে চাইছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বুধবার ১৪ দলের এই গণজমায়েতে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সব নেতাদের থাকতে বলা হয়েছে। যে নেতা থাকবেন না, তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে।
সমাবেশের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক সভা হয়। সভায় বিরোধী দলের সোমবারের সমাবেশকে ‘কর্মীসভা’ আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, “কালকেরটি (বুধবার) হবে জনসভা। দক্ষিণে সদরঘাট, উত্তরে পল্টন এবং পশ্চিমে প্রেসক্লাব পর্যন্ত লোক হবে।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার নয়া পল্টনে খালেদা জিয়ার সমাবেশে ২ লাখ জনসমাগম হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, পদে পদে বাধা উপেক্ষা করেই তাদের ওই সমাবেশ করতে হয়েছে।
ওই সমাবেশের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা, দুর্নীতিবাজদের রক্ষা ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ১৪ দল ঢাকায় সমাবেশ করছে।
বুধবারের জনসভার মঞ্চ তৈরি হয়েছে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে। এতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ সাংবাদিকদের জানান, জনসভার মাইক দক্ষিণে কাপ্তান বাজার, উত্তরে বিজয়নগর, পূর্বে দৈনিক বাংলা মোড় এবং পশ্চিমে প্রেসক্লাব পর্যন্ত থাকবে।
মূল জনসভা শুরু হবে বেলা ৩টা থেকে। তবে দুপুর ১২টা থেকেই মঞ্চে গণসংগীত পরিবেশন শুরু হবে।
থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে হবে। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসবেন।”
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “প্রমাণ হবে, কাদের লোক বেশি। কালকের স্লোগান হবে ‘ছাড়ো ছাড়ো ঢাকা ছাড়ো’। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত শুধু মানুষ আর মানুষ দেখতে চাই।”
থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যে সব নেতা জনসভায় উপস্থিত থাকবেন না, তাদের শো-কজ করা হবে বলে সভায় সতর্ক করে দেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।