থানচিতে খাদ্য সংকট, হেলিকপ্টারে পৌঁছেছে ত্রাণ

থানচিতে খাদ্য সংকট, হেলিকপ্টারে পৌঁছেছে ত্রাণ

bandarbanবান্দরবানের রুমা-থানচি সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দুর্গম থানচি উপজেলার আদিবাসীরা। ফলে এ উপজেলার গ্রামগুলোতে ব্যাপক খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

এসব এলাকার বাসিন্দাদের কাছে হেলিকপ্টারে করে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

মঙ্গলবার (০৪ আগস্ট) দুপুরে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে উপজেলার বড় মদক ও ইয়ংরাইসহ দুর্গম কয়েকটি এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রুমা-থানচি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সাঙ্গু নদীতে পানি বাড়ায় নৌ চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এজন্য বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট থেকে হেলিকপ্টারে করে থানচির বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো হচ্ছে।

পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত দুই মেট্রিক টন চাল থানচির বড় মদক ও ইয়ংরাই এলাকার বন্যা দুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলেও সূত্রটি জানায়।

এদিকে, থানচি উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা জানান, বন্যার কারণে স্বাভাবিক সড়ক ও নৌপথ বন্ধ থাকায় উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এতোদিন দুর্গম এলাকাগুলোতে হেলিকপ্টারে করে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার প্রায় পাঁচদিন পর মঙ্গলবার দুর্গম কয়েকটি এলাকায় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো হচ্ছে।

খাবার না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওইসব এলাকার জনগণ। শিগগিরই বন্যা কবলিত দুর্গম এলাকাগুলোতে খাদ্য পৌঁছানো জরুরি বলে মনে করেন তারা।

পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুর রশীদ আমিন বাংলানিউজকে জানান, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় হেলিকপ্টারে করে দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বাকি এলাকাগুলোতেও একই ব্যবস্থায় শিগগিরই ত্রাণ পাঠানো হবে।

বান্দরবানের রুমা-থানচি সড়কের নয় মাইল এলাকার বসন্ত পাড়ায় সড়ক ধসে পড়েছ। এছাড়া একই সড়কের আরও কিছু স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ১৫ দিন ধরে রুমা ও থানচি উপজেলার সঙ্গে বান্দরবান সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর