এটিকে ঠিক মুক্তিযুদ্ধ বলা যায় না, বলা যায় অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। তাদের ভাষায় সেই সংগ্রামে জয়ী হতে সময় লেগেছে ৬৮ বছর। এর আগের হিসাব তাদের কারও কাছেই নেই। আর এই জয়ের আনন্দকে তারা দেখছেন মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মতো।
তাই শুক্রবার (৩১ জুলাই) দিনগত রাত থেকেই আরও ১শ ১১টি ভূখণ্ডের মতো নিজের পরিচয় খুঁজে পাওয়া দাসিয়ার ছড়ার মানুষগুলো ভাসছে আনন্দের জোয়ারে। আনন্দ প্রকাশের কোনো মাধ্যম তাদের যেন বাকি নেই। এ বিজয় তাদের কাছে একটু ভিন্ন মাত্রার। কারণ, এটিই ছিলো ছিটমহল আন্দোলনের সূতিকাগার। তাই বিজয়ের সবচেয়ে বড় উৎসবটিও এখানে।
তবে একটি জিনিস উপস্থিত সবার নজর কাড়বে। সেটি হলো, স্লোগান। সেই রাত থেকে শুরু হওয়া ‘জয়বাংলা’ স্লোগানে উত্তাল পুরো দাসিয়ার ছড়া। টগবগে তরুণদের বাজখাঁই স্লোগানে রক্ত গরম করে দেয়। আবহ তৈরি করে সেই মুক্তিযুদ্ধের সময়কার। আর হাতে যদি থাকে মশাল, তাহলে তো কথাই নেই!
৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি এই মানুষগুলোর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
তাই স্লোগানে বারবার সেই কৃতজ্ঞতা। আর ভারত-বাংলাদেশের সেই সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে ও তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। তাই দলমত নির্বিশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বেঁধেছে স্লোগানের পর স্লোগান।
জাতীয় পার্টি সমর্থিত চেয়ারম্যানকে দেখা গেলো বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার কথা বার বার স্মরণ করতে। তার অনুসারীদের একই অবস্থা।