ভারি বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। মাঝে বৃষ্টি থামায় খেলা হওয়ার সম্ভাবনা জাগলেও শেষ পর্যন্ত মাঠের দুই আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে খেলা পরিত্যক্তের সিদ্ধান্ত নেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রোববার (০২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হবে। এ নিয়ে বৃষ্টির কারণে টানা দু’দিন খেলা পরিত্যক্ত হলো।
স্কোর: বাংলাদেশ – ২৪৬/৮
এর আগে বেশ জোরেশোরেই বৃষ্টি হওয়ায় শনিবার (০১ আগস্ট) সকাল থেকে তৃতীয় দফায় মাঠ ঢাকতে হয় মাঠকর্মীদের। দুপুর সোয়া ২টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করা হয়নি। কালো মেঘে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অন্ধকার নেমে আসায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল ফ্লাডলাইট।
দ্বিতীয় দফায় মাঠ পরিদর্শন শেষে দুপুর সোয়া ২টায় খেলা শুরু করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আম্পায়াররা।
টিম হোটেল সোনারগাঁও থেকে লাঞ্চ সেরে দুপুর ১টায় মাঠে পৌঁছায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। কিছুক্ষণ পর দুই দলের খেলোয়াড়রা মেঘলা আকাশের নিচেই হালকা অনুশীলন শুরু করেন।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে দ্বিতীয় দফায় শুরু হওয়া গুড়িগুড়ি বৃষ্টি কিছুক্ষণ পরেই থেমে যায়। পৌনে ১২টার দিকে ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ার ও কিউরেটর গামিনী ডি সিলভা মাঠ পরিদর্শনে নামার পর মাঠে নামেন এক দল মাঠ কর্মী। তারা পিচের উপর থেকে ত্রিপল তুলে ফেলেন। দুপুর দেড়টায় আবারো মাঠ পরিদর্শন করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে শুক্রবার (৩১ জুলাই) ভোররাত থেকেই প্রচুর ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হয়। ফলে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা মাঠে গড়াবে কি না এ নিয়ে অনিশ্চতয়তা দেখা দেয়। অবশেষে দুপুর ১২টার দিকে দ্বিতীয় দিনের খেলা অফিসিয়ালি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের প্রথম দিন বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারিয়ে ৮৮.১ ওভারে ২৪৬ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ রান আসে। ইমরুল কায়েস (৩০), মুমিনুল হক (৪০), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৩৫) ও সাকিব আল হাসান ৩৫ রান করেন। নাসির হোসেন ব্যক্তিগত ১৩ রানে অপরাজিত আছেন।
প্রথম দিনের প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন শেষে স্বাগতিকরা তিন ব্যাটসম্যানকে হারায়। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ ২৬ ওভার ব্যাট করে দুই উইকেট হারিয়ে তোলে আরও ৭৯ রান। প্রথম সেশনে এক উইকেট খুঁইয়ে আসে ৭৫ রান। তৃতীয় সেশনে ৫ উইকেট হারিয়ে যোগ হয় আরও ৯২ রান। মুশফিকের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৯৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মাহমুদুল্লাহ।
প্রোটিয়াদের হয়ে জেপি ডুমিনি ও ডেল স্টেইন তিনটি করে উইকেট লাভ করেন এছাড়া ডিন এলগার ও মরনে মরকেল একটি করে উইকেট নেন।