চির নিদ্রায় শায়িত হলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি সদ্যপ্রয়াত এপিজে আবদুল কালাম। জন্মস্থান তামিলনড়ুর রামেশ্বরামে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) স্থানীয় সময় দুপুরে ১২টার দিকে রামেশ্বরামে পেইকারুম্বু’র পাবলিক গ্রাউন্ডে এপিজে আবদুল কালামকে সমাধিস্থ করা হয়। এসময় তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পাড়িকর, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু, কংগ্রেস ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও রামেশ্বরামে উপস্থিত হয়েছেন। তবে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা অসুস্থতার কারণে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত হতে পারেননি।
এদিকে, ভারতের ‘মিসাইল ম্যান’খ্যাত প্রয়াত এই বিজ্ঞানীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার (২৯ জুলাই) থেকেই রামেশ্বরামে নামে জনতার ঢল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস, ট্রেন ও নৌকায় করে হাজার হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত হতে থাকেন। এদের অনেকেই রাস্তায় ঘুমিয়ে রাত কাটিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে নিজ বাড়ি থেকে তিন বাহিনীর সদস্যরা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ড. কালামের মরদেহ ঐতিহ্যগত সবুজ শালে ঢেকে সমাধিস্থলের উদ্দেশে রওনা হন। এসময় তার বড়ভাই মোহাম্মদ মুঠু মীরা লেব্বাই মারাইকারসহ (৯৯) পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে ছিলেন। সমাধিস্থলে নেওয়ার পর এই প্রথিতযশা বিজ্ঞানীর দেহ ফুলে ফুলে ঢেকে যায়। এসময় চারপাশ ‘ভারত মাতা কি জয়’ শ্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে।
সোমবার (২৭ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় শিলংয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এপিজে আবদুল কালাম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর রামেশ্বরামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন তিনি। তার পিতার নাম জয়নুল আবেদিন ও মাতার নাম আসিআম্মা
এপিজে আবদুল কালাম ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রাজ থেকে ১৯৫৪ সালে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ও ১৯৬০ সালে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থায় (ডিআরডিও) বিজ্ঞানী ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (আইএসআরও) বৈজ্ঞানিক প্রশাসক পদে দীর্ঘদিন কাজ করেন।
১৯৯৮ সালে ভারতের প্রথম সফল পারমাণবিক পরীক্ষা পোখরান-২ এ তিনি ছিলেন মুখ্য অবদানকারী।