প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিগত জানুয়ারি থেকে ৩ মাসের জ্বালাও-পোড়াও এবং অগ্নি সন্ত্রাসের তীব্র সমালোচনা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র ওই সময় বাস, রেল ও লঞ্চ জ্বালিয়ে না দিলে দেশের মানুষ আরো স্বস্তিতে বাড়ি যেতে পারতেন। তিনি বলেন, ৩ মাসে বিএনপি ও জামায়াত জনগণের জানমালের যে পরিমাণ ক্ষতি ও ধ্বংস সাধন করেছে তা বর্ণনাতীত। আজ মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব এইচটি ইমাম, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনকৃত এ ৭ উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে- বান্দরবানে থানচি-আলী কদম সড়ক, রংপুর বিভাগীয় সড়কের ১৬ কিলোমিটার ৪ লেনে উন্নীতকরণ, ঢাকায় বিরলিয়া-আমুলিয়া হাইওয়ে, বিরলিয়া সেতু এবং রাষ্ট্রীয় খাতে নির্মিত যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি মধুমতি ও দু’টি নতুন ফেরি। গণভবনে এ অনুষ্ঠানে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা ও জাতীয় সম্পদ ধ্বংসের মতো এমন নৃশংসতা আর কখনো দেখেন নাই। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র ২ হাজার বাস ধ্বংস করেছে এবং রেলগাড়ি জ্বালিয়েছে ও রেল লাইন উপড়ে ফেলেছে। তাদের আগুন সন্ত্রাস থেকে লঞ্চও রেহাই পায়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষেই এ ধরনের নৃশংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো সম্ভব। বাংলাদেশ যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হতে পারে এ লক্ষ্যে তিনি বাজেট ও অন্যান্য প্রকল্প আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু এতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হবো। এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সকলকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির লক্ষ্যে দেশব্যাপী ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি এসব প্রকল্প যথাযথ বাস্তবায়নে জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে দেমের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশবাসীও উপকৃত হবে।