রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধকালীন নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে পুনরায় দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য শুরু করা উচিৎ বলে বিবৃতি দিয়েছে পুতিন বিরোধীরা।
বিরল সংহতি প্রকাশ করে এক খোলা চিঠিতে এই মতামত ব্যক্ত করে রাশিয়ার বিভিন্ন দল-মত-শ্রেণীর মানুষেরা। তারা সবাই স¤প্রতি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের বিরোধী বলে জানা গেছে।
এদের মধ্যে রয়েছেন দুর্নীতিবিরোধী ব্লগার আলেক্সেই নাভালনিসহ পুতিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আয়োজনকারী বিভিন্ন গোষ্ঠী। রয়েছে উদারপন্থী, জাতীয়াতাবাদী ও বামপন্থীরাও।
এই চিঠিতে ১৯৭৪ সালে প্রণীত জ্যাকসন-ভানিক সংশোধনী রদ করার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া মার্কিন রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে বলা হয়, এ সংশোধনীর ফলে মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে পুতিন ও তার ‘অন্তরঙ্গ বন্ধুরাই’ লাভবান হচ্ছে।
এতে আরো বলা হয়, এর ফলে রাশিয়া আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের প্রতিযোগিতার যোগ্যতা হারাচ্ছে, যার ফলে ‘তেলবাণিজ্য ভিত্তিক উন্নয়ন’ মডেলেই আটকে পড়েছে রাশিয়া। এতে রাশিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নও আটকে পড়েছে।
পুতিনবিরোধী ঐক্যবদ্ধ এই গোষ্ঠীর মতে, জ্যাকসন-ভানিক সংশোধনী কোনোদিক দিয়েই সহায়তা করছে না রাশিয়াকে। না দেশের মানবাধিকার বা গণতন্ত্রকে, না দেশের জনগণের অর্থনৈতিক চাহিদাকে।
১৯৭৪ সালের এ সংশোধনীর ফলে ইহুদি ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠীর মানুষদের বাধাহীনভাবে অভিবাসনের শর্তে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্যের সম্পর্ক তৈরি হয়।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যায়।
গত ৪ মার্চ ছয় বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ভাদিমির পুতিন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ নির্বাচনে পুতিনের পক্ষে কারচুপি হয়েছে। ফলে নিরপেক্ষ নির্বাচন, রাজনৈতিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন ও পুতিনের পদত্যাগের দাবিতে বেশ চড়াই-উৎরাই পার করেই একাট্টা হয়েছে বিরোধী দলগুলো
তবে পুতিন অভিযোগ করেন, বিরোধী দলগুলো পশ্চিমাদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করছে।