১৬ বেসামরিক আফগান নাগরিককে হত্যাকারী সন্দেহভাজন মার্কিন সেনার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিও প্যানেট্টা।
মার্কিন সামরিক বিমানে করে কিরগিজস্থানে যাওয়ার পথে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তবে একে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন প্যানেট্টা। তিনি বলেন, “যুদ্ধ মাত্রই নরক। যে ধরনের দুর্ঘটনা সেখানে স্থান করে নিচ্ছে তা যে কোনো যুদ্ধেই ঘটতে পারে। এটি সত্যিই ভয়ঙ্কর ব্যাপার। তবে এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এবং সম্ভবত এটি এ ধরনের ঘটনার শেষ উদাহরণও নয়।”
“তবে আমাদের কৌশলগত কারণে এবং যে মিশন নিয়ে আমরা রয়েছি তা পূরণে এ ধরনের ঘটনা বরদাশত করা হবে না”, বলেন প্যানেট্টা।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমি মনে করি, যখন বড় পরিসরে প্রকৃত চিত্র দেখবেন, আমি জোর গলায় বলতে পারি, তখন একে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে আপনারা মেনে নেবেন। আফগানিস্তানে যা ঘটছে এই ঘটনা তার প্রতিনিধিত্ব করে না।”
এই হত্যাকাণ্ডের হোতাকে মার্কিন সামরিক আদালতে বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান প্যানেট্টা। অভিযুক্ত হলে এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড হতে পারে কি না জানতে চাইলে প্যানেট্টা বলেন, “আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে তা কার্যকর হতে পারে।”
১৬ বেসামরিক আফগান নিহতের ঘটনার পর প্যানেট্টা প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা এখনো ওই ঘটনার নেপথ্য কারণ খুঁজে পান নি বলে জানিয়েছেন।
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কান্দাহারে এই ঘটনা ঘটে। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু বলে জানা গেছে। এ ঘটনা দেশটিতে মার্কিনবিরোধী ক্ষোভকে আরো উস্কে দিয়েছে।
আফগানিস্তানের পার্লামেন্ট এ হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং বিদেশি বাহিনীর কর্মকাণ্ডে আফগানরা ধৈর্য্য হারাচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা।
বিদেশি বাহিনীকে নির্ধারিত সময়ের আগেই আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার দাবি তুলেছে বিক্ষুব্ধ আফগানরা।
কান্দাহারের ওই ঘটনার পর আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন সেনাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
তবে বেসামরিক আফগানদের ওপর গুলির ঘটনার সঙ্গে কয়জন মার্কিন সেনা জড়িত সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ ঘটনার সঙ্গে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা জড়িত বলে দাবি করেছে।
যদিও আফগানিস্তানের মার্কিন দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতা বাহিনী (আইএসএএফ)’র পক্ষ থেকে হামলার সঙ্গে এক মার্কিন সেনা জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে।