দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাস-ট্রেন-নৌচলাচল শুরু হয়েছে অনেক আগেই। এদিকে বছর হতে যাচ্ছে দু’দেশের গ্রিডকে সংযুক্ত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। এবার ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে টেলি-সংযোগের প্রক্রিয়াও চলতি সপ্তাহেই শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে ভারতে ‘ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ’ রফতানি করতে পারবে বাংলাদেশ। আর সেই সঙ্গেই বোধহয় আমূল বদলে যাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবার ছবিটাও!
ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএল(ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড) সূত্রের খবর, এই ব্যান্ডউইথ রফতানির জন্য যে অপটিক ফাইবার ক্যাবল পাতার কাজ করতে হবে, এই সপ্তাহের যে কোনও দিনই তার সূচনা হতে পারে। বিএসএনএলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সার্কেলের চিফ জেনারেল ম্যানেজার ডি পি সিং জানান, এই কাজটার জন্য বাংলাদেশের আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলা হয়ে আবার বাংলাদেশের কক্সবাজার অবধি লাইন পাততে হবে। সোজা কথায় কক্সবাজারে যে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে ফর ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস(আইজিআইএস) আছে, তার সঙ্গে আখাউড়াকে সংযুক্ত করতে হবে ভারতের মধ্যে দিয়ে। এই লাইনটা ভারত নিজস্ব খরচেই বসাবে, আর তার বিনিময়ে বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত ব্যান্ডউইথ
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ব্যবহার করার সুযোগ পাবে!’
সিং আরও জানিয়েছেন, বস্তুত তারা ভারতের তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দফতর থেকে সবুজ সংকেতের অপেক্ষা করছেন- মন্ত্রী কবে এসে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে পারবেন। খুব সম্ভবত, এ সপ্তাহের যেকোনও দিনই মি. প্রসাদ আগরতলায় গিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করে দিয়ে যাবেন
বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে ইন্টারনেট সেতুবন্ধন হতে যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক ঢাকা সফরেই সে প্রস্তাবে সিলমোহর পড়েছিল। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড(বিএসসিসিএল) ভারতকে তাদের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ‘লিজ’ দেয়ার জন্য ভারত সঞ্চার নিগম
লিমিটেডের(বিএসএনএল) সঙ্গে ঢাকায় সমঝোতায় সই করেছিল প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতেই। আর সেই চুক্তিতে সই হওয়ার পর বিএসএনএল যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই প্রকল্প রূপায়নের কাজ শুরু করেছে, তা প্রায় নজিরবিহীন। সমঝোতায় সই হওয়ার মাত্র চার সপ্তাহের ভেতর তারা অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল পাতার সব প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে, যাতে এই দশ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ আমদানিতে আর এতটুকুও দেরি না হয়।