তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে ভূমিকম্প সহনীয় করে তোলার লক্ষ্যে জাপানি বিশেষজ্ঞ ও দেশীয় প্রকৌশলীরা প্রথমবারের মতো আশুলিয়ায় স্থানীয় তৈরি একটি পোষাক প্রতিষ্ঠাকে পদ্ধতিগতভাবে নির্মান করছেন। ‘রিট্রফিটিং’ হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যাতে একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনকে কোনরূপ ধ্বংস না করেও সেটিকে ভূমিকম্প সহনীয় হিসেবে গড়ে তোলা যায়। এতে ব্যয় হয় নতুন করে ভবনটি নির্মান করার অনুমিত ব্যয়ের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। সাভারের রানা প্লাজার মর্মান্তিক দুঘটনার পর, জাপান সরকার জাইকার মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার ও কর্মিদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহন করে। এজন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়।
এ কর্মসূচির আওতায় তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের তাদের কারখানা মজবুত করার জন্য জাইকার সহায়তা পাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। জাইকার আহবানে এ সাড়া দিয়ে মোট ৩০০ তৈরি পোশাক কারখানা আবেদন করে এবং ২১৪টি কোম্পানীকে বাছাই করা হয়। এ ব্যাপারে জাইকার সিনিয়র প্রতিনিধি হিরোউকি টোমিতা বলেন, জাপানি প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতার কারনে ভবনগুলো ভূমিকম্প সহনীয় হবে। পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতে রানা প্লাজার মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।