অস্বাভাবিক লেনদেনের কারণে দু’টি সিকিউরিটিজ হাউজের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) তদন্ত চলছে।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান রেমন্স ইনভেস্টমেন্ট ও ওয়াইফাং সিকিউরিটিজ বিরুদ্ধে এ তদন্ত চলছে।
গত ৬ মার্চ ৫ কার্যদিবসের সময় বেধে দিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে ২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে কমিশন।
পাশাপাশি এ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) বরাবর পেশ করার নির্দশনা দেয়া হয়। সে হিসেবে সোমবার ১২ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের শেষ দিন।
সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যের সিকিউরিটিজ হাউজগুলো পরিদর্শনে এসইসি তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টসূত্রের।
গত দুই-তিন সপ্তাহ পুঁজিবাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও ক্ষতিপূরণ ঘোষনার পর হঠাৎ বাজার অস্থির হয়ে উঠে, যা এসইসি’র কাছে অস্বাভাবিক বলে মনে হওয়াতে নিয়ন্ত্রকসংস্থা এ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
গত ৬ মার্চ লেনদেনের শুরুতেই এ দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রির আদেশকে অস্বাভাবিক হিসেবে চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সার্ভিলেন্স বিভাগ। পরে প্রতিষ্ঠানটির ওইদিনের সামগ্রিক লেনদেন তদন্তের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হয়।
এ নিয়ে গত এক মাসে সিকিউরিটিজ হাউসের বিরুদ্ধে মোট ৭টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এসইসি।
রেমন্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজ ও ওয়াইফাং সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এসইসি গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- কমিশনের উপ-পরিচালক ওহিদুল ইসলাম এবং সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ রকিবুর রহমান।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ধারা ২১ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩-এর ১৭-ক ধারা অনুযায়ী এ সিকিউরিটিজ হাউজ দু’টির বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে।