সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর ওপর নজরদারির কোনো সুযোগই ছাড়ছে না পাকিস্তান। সীমান্তে মানবহীন বিমান (ইউএভি) চালিয়ে বা গোপন ক্যামেরা বসিয়ে চরবৃত্তি চালাচ্ছে পাকিস্তান। এ কথা জানিয়েছেন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর এক কর্মকর্তা।
রাজস্থান সীমান্তের বিএসএফ ডিআইজি রবি গান্ধী জানিয়েছেন, ভারতীয় বাহিনীর ওপর নজরদারি চালাতে প্রযুক্তির ব্যবহার করছে পাকিস্তান। তবে ভারতের আপত্তির পর সেই পথ থেকে আপাতত সরে দাঁড়িয়েছে তারা। কিন্তু পাকিস্তানের এই ধরনের কৌশল সম্পর্কে আরও কিছু উদ্বেগ রয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত এপ্রিলেই সীমান্ত সংলগ্ন পাকিস্তানের এলাকায় আকাশের ১৫০ থেকে ৪০০ মিটার উঁচুতে একটি আলোর ঘোরাফেরা নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। গান্ধী জানিয়েছেন, আমরা অনুমান করেছিলাম, সেটি ড্রোন বা ইউএভি হতে পারে। পাক রেঞ্জার্সের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানানো হয়। এরপর ওই নজরদারি বন্ধ হয়।
তিনি দাবি করেন, কিন্তু এরপর আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির থোড়াই কেয়ার করে ভারতীয় সীমায় চরবৃত্তি করতে পশ্চিম সীমান্তে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে শুরু করে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমানার ২০০-৩০০ মিটার দুরে নিজেদের এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসায় পাকিস্তান। বিষয়টি নিয়ে ভারতের তীব্র আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান এ ক্ষেত্রেও পিছু হঠেছে বলে জানিয়েছেন গান্ধী। তিনি বলেছেন, বাড়মের, জয়সলমীর,বিকানীর এবং শ্রীগঙ্গানগর জেলা বরাবর সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি ভারতীয় সেনা ঘাঁটিগুলির সামনে সিসিটিভি বসায় পাকিস্তান।ভারতের আপত্তিতে পাকিস্তান পিছু হঠলেও এখনও কয়েকটি ক্যামেরা রয়ে যেতে পারে।
জানা গিয়েছে, ১৫ ফুট উঁচু পোলের ওপর ক্যামেরা বসানো হয়। কিছু ক্যামেরা আবার ঝোপেঝাড়েও বসানো হয়। ওই ক্যামেরাগুলিতে চিনা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি পোলে সোলার প্যানেল লাগানো হয়।
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, সীমান্তের ৫০০ মিটার পর্যন্ত এলাকায় কোনো ক্যামেরা বা এ ধরনের অন্য কোনো কিছু ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু পাকিস্তান সেই নিয়ম মানছে না।
এক পুলিশ কর্মকর্তার আশঙ্কা, রাতের অন্ধকারে ভারতে মাদক ও অস্ত্র পাচারকারীদের অনুপ্রবেশ করানোর লক্ষ্য পাকিস্তানের থাকতে পারে। এ জন্য ভারতীয় বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজরদারি চালানোর চেষ্টা করছে তারা।-