রাজধানীতে আয়োজন করে জাকাত প্রদান করতে পুলিশের অনুমতি লাগবে। পুলিশের অনুমোদন ব্যতীত এ ধরনের আয়োজন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গরিব-দুস্থদের নতুন কাপড় বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি আয়োজন করে জাকাত প্রদান অনুষ্ঠান করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ ওই সকল আয়োজনে মানুষের প্রাণের আশঙ্কা থাকে।
ময়মনসিংহের উদাহরণ টেনে কমিশনার বলেন, পুলিশের সহযোগিতা নিলে সেখানে এতো প্রাণহানি ঘটতো না। তাই ঢাকা শহরে প্রাণনাশের আশঙ্কা ঠেকাতে যেকোনো বড় ধরনের জাকাত প্রদান অনুষ্ঠানে পুলিশের অনুমোদন লাগবে। আর পুলিশের অনুমোদন ব্যতীত একাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, পুলিশের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের আয়োজন করলে প্রাণ ঝরলে তার দায়-দায়িত্ব জাকাত প্রদানকারী ব্যক্তিকেই নিতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, হকার উচ্ছেদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। ঈদের আগে রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় হকার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ঈদের আগে দুই মেয়র একটু শিথিল করার কথা বলায় আপাতত তা স্থগিত আছে। কিন্তু ঈদের পর বৃহৎ আকারে হকার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। তাদেরকে একটি নির্ষ্ট জায়গায় স্থান দেওয়া হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, রাস্তা ও মার্কেটের সামনে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। ঢাকা শহরে যারা বাড়ি বা মার্কেট তৈরি করেছেন তারা বেজমেন্টে কোনো পার্কিং প্লেস না রেখেই ভবন নির্মাণ করেছেন। তাই এখন থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলব, ভবিষ্যতে পার্কিং প্লেস ছাড়া যেন কোনো ভবন নির্মাণের অনুমতি না দেন।
এর আগে ডিএমপি কমিশনার পল্টন ও মতিঝিল এলাকার সুবিধাবঞ্চিত নারী-পুরুষ ও শিশুদের ঈদের নতুন কাপড় বিতরণ করেন। নতুন কাপড় পেয়ে এরা খুশি। তবে এখানেও অনেকে কাপড় না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
শুক্রবার ময়মনসিংহে জাকাত নিতে এসে পদদলিত হয়ে ২৭ জন নিহতের ঘটনার প্রেক্ষিতে আইজিপি এ কে এম শহিদুল হকের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাজধানীসহ সকল জেলায় জাকাত প্রদান ও অনিয়ন্ত্রিত জনসমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়।