বাবার কাঁধে ছেলের লাশ। এর চেয়ে পৃথিবীতে একজন বাবার জন্য আর কি ভারি হতে পারে। আর এমনি নির্মমতা ঘটেছে মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে। ১১ জুলাই ২০১১ সাল ইতিহাসে অন্যতম একটি দিন। কারণ পৃথিবীর কোথাও একসঙ্গে এত স্কুল শিক্ষার্থী না ফেরার দেশে যায়নি।
ওইদিন শুধু কি বাবার কাঁধে ছেলের লাশ ছিল? না ভাইয়ের কাঁধে ভাইয়ের লাশ, মায়ের কোলে প্রিয় সন্তানের লাশ, বোনের কোলে একমাত্র ভাইয়ের লাশ, স্বজনের কাঁধে স্বজনের লাশ। একটি, দুইটি লাশ নয়, ছিল লাশের মিছিল। ওই ট্র্যাজেডিতে অকালেই ঝরে যায় ৪৩ জন ক্ষুদে স্কুলশিক্ষার্থীসহ ৪৫টি তাজা প্রাণ। সেইদিন লাশের মিছিলে আকাশ-বাতাশ ভারি হয়ে উঠে। গ্রামের পর গ্রাম বাড়ির পর বাড়ি শুধুই আহাজারি আর কান্নার রোল।
সেইদিন কেউ কাউকে সান্ত্বনা দিতে পারেনি। কারণ কারো মুখে সেইদিন সান্ত্বনার ভাষা ছিল না। সেইদিন কেঁদেছে আবুতোরাব, কেঁদেছে মিরসরাই, কেঁদেছে বাংলাদেশ, কান্না ধরে রাখতে পারেনি পৃথিবীর অন্য দেশের মানুষেরাও।
আজ ১১ জুলাই। সেই ভয়াল ট্র্যাজেডির চার বছর। আবার সেই ট্র্যাজেডির কথা মনে হয়েছে সবার। আবার কাঁদছে ছেলেহারা মা, ভাইহারা বোন, স্বজনহারা স্বজন। সবার একটাই প্রশ্ন এ কান্নার শেষ কোথায়? এ মিছিলের শেষ কোথায়? যেন আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।