নারী ও শিশু সবার আগে, বিপদে-দুর্যোগে প্রাধান্য পাবে এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ১১ জুলাই সারা বিশ্বে পালন হচ্ছে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র্যালি, আলোচনা সভা ইত্যাদি।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০১৫ এর প্রতিপাদ্যকে স্বার্থক ও এ বিষয়ে সকলকে সচেতন করার লক্ষ্যে সারাদেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় প্রতিপাদ্যের গুরুত্ব এবং এ বিষয়ে সেবা কেন্দ্রগুলোর করণীয় বিষয়ে আলোচনা সভা ও র্যালির আয়োজন করা হবে।
দিবসের মূল অনুষ্ঠান হবে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বক্তব্য রাখবেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত প্রতিষ্ঠান ও সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে জাতীয়ভাবে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কর্মী ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে।
একই সাথে পরিবার পরিকল্পনা, জনসংখ্যা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং বাল্যবিবাহ, কিশোরীর স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদনের জন্য মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রেডিও এবং টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর থেকে স্মরণিকা, লিফলেট, পোস্টার ও বিভিন্ন দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ১৯৫১ সালে বাংলাদেশে (তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান) জনসংখ্যা ছিল দুই কোটি তিন লাখ। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি ৭০ লাখ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে এখানে বাস করে ৯৭৯ জন।