আর দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ পেসার কাগিসো রাবাডার বোলিং দেখেই হয়তো আফসোসের মাত্রা বাড়ছে। কিন্তু ঠিকমত লিটন, মাহমুদউল্লাহদের আউটগুলো দেখলে বুঝা যাবে, আসলে উইকেট নয় রাবাডার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংই ছিল আউটগুলোর মূলে। তামিম ভালো বলে আউট হয়েছেন। লিটন, সৌম্যরা উইকেট বিলিয়ে এসেছেন বলতেই হবে। রাবাডার কৃতিত্বই সেখানে বেশি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি টস জিতে ব্যাটিংয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, “না নেয়ার কারণ দেখছি না। উইকেটে কোনো সুইং ছিল না। আমি কোনো বড় সুইং দেখিনি। এটা ব্যাটিং ট্র্যাক। সাকিব-নাসিররা সেটা প্রমাণ করেছে। র্দুভাগ্য আমরা ব্যাটিংটা করতে পারিনি।” তিনি আরও বলেন, “এটা নিয়ে কেন কথা আসছে আমি জানি না। কেউ বলতে পারবে না অনেক সুইং ছিল। অনেক বড় সুইং ছিল না। আমরা শুধু ব্যাটিংটা ভালো করিনি।”
৮ উইকেটে হারের কারণ হিসেবে টাইগার অধিনায়ক বলেন, “আসলে হ্যাটট্রিক হয়ে গেলে কিছু করার থাকে না। আগে ওদের পেসার রাবাডাকে কৃতিত্ব দেয়া উচিত। উইকেট ভালো ছিল। সাকিব-নাসির ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাদের একটা জুটিও হয়েছিল। সেটা বড় হলে রানটা দুশো হতে পারতো। আর দুশো হলে আমাদের স্পিনাররা ছিল। তখন অন্যরকম হতে পারতো।”
দলের ব্যর্থতার বিষয়টি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠেই স্বীকার করেন মাশরাফি। তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস দল আগামী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে। আমরা সেরাটা খেলিনি এটা পরিষ্কার। হয়তো আরও সময় নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে। এর চেয়ে ভালো আমি আশা করছি। আমরা ভারত, পাকিস্তান সিরিজে ভালো করেছি। ওইভাবে খেললে জিততে পারবো এদের সাথেও।”