আওয়ামী লীগও মাঠে সরব ছিল

আওয়ামী লীগও মাঠে সরব ছিল

বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঠে সরব ছিলো। বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের কর্মীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারাও সারাদিন অবস্থান করেছেন।

তবে সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকলেও বিচ্ছিন্ন দুই একটি ঘটনা ছাড়া ঢাকায় বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো বিএনপির সমাবেশ থেকে অস্থিতিশীল পরিস্থতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মীরাও মাঠে থেকে তাদের প্রতিহত করবে।

এ জন্য কর্মীদেরকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ থানা, ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লায় সতর্ক অবস্থান নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সারাদিনই বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থান করে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকায় তারা দফায় দফায় মিছিলও করে।

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে প্রায় সারাদিনই অবস্থান করেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপ-প্রচার সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রায় রমেশ চন্দ্র প্রমুখ।

সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘নাশকতামূলক ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা মাঠে রয়েছে।

দুপুরে প্রেসক্লাব, সচিবালয়ের সামনে, জিরো পয়েন্ট ও বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কয়েক দফায় মিছিল করে যুবলীগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, মৎস্য ভবন এলাকায় ছাত্র লীগ মিছিল করে।

দুপুর ১২টার দিকে মৎস ভবন এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রদলের কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় সেখানে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউসহ আশপাশের এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীরা কয়েক দফায় মোটরসাইকেল মহড়া দেয়।

২০/৩০টি করে মোটরসাইকেল জোরে হর্ন বাজিয়ে এই মহড়ায় অংশ নেয়।

এছাড়া রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড, সদরঘাট, মগবাজার, আগারগাঁসহ দুই একটি জায়াগায় বিক্ষিপ্ত ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে কয়েকদিন আগে থেকে জনমনে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। তবে সমাবেশকে ঘিরে বড় ধরনের কোনো অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটায় সন্ধ্যায় সব উৎকণ্ঠার অবসান হয়।

রাজনীতি