দক্ষিণ সুদানে জাতিগত সহিংসতায় বহু হতাহতের আশঙ্কা

দক্ষিণ সুদানে জাতিগত সহিংসতায় বহু হতাহতের আশঙ্কা

দক্ষিণ সুদানের জংলেই প্রদেশে নতুন করে শুরু হওয়া জাতিগত সহিংসতা এবং গবাদি পশু নিয়ে দাঙ্গায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জংলেই প্রদেশের প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল দোউপ লাম এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই’শ মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার মুরলি নৃগোষ্ঠির যুবকেরা জংলেই এর লও নুয়ির নৃগোষ্ঠির একধিক গবাদি পশুর খামারে হামলা চালায়। একটি অসমর্থিত সূত্র দাবি করেছে ওই হামলায় কমপক্ষে ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ওই সব খামার থেকে হাজারেরও বেশি গবাদি পশু চুরি হয়েছে। যা উত্তরাঞ্চলীয় শহর আকোবোর ৮টি ভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে গত জানুয়ারিতে লও নুয়ির নৃগোষ্ঠির যোদ্ধাদের হাতে জংলেই প্রদেশে কয়েক’শ মুরলি নৃগোষ্ঠির মানুষ মারা গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া হাজারেরও বেশি মুরলি এসময় ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।

দেশটিতে মুরলি এবং লও নুয়ির নৃগোষ্ঠির মধ্যে সহিংসতা এবং শত্রুতার ইতিহাস অনেক পুরোন। ২০১১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটিতে এই দুই নৃ গোষ্ঠির মধ্যে সহিংসতায় কয়েক হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ সুদানের সেনা বাহিনী এবং দেশটিতে দ্বায়িত্ব পালনরত জাতিসংঘ শান্তি মিশন বলছে, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তারা জংলেই প্রদেশে সহিংসতা থামাতে আরো বেশি সংখ্যক সৈন্য পাঠাবে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের জুলাইয়ে স্বাধীনতা লাভ করা দক্ষিণ সুদান পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে একটি।

আন্তর্জাতিক