সিরিয়ার হোমস শহরে ফের সরকারি বাহিনীর হামলায় ৪৭ জনের বেশি নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। রোববার রাতে হোমসের পার্শ্ববর্তী কার্ম আল-জায়তুনে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কার্ম আল-জাইতুনের মহিলা ও শিশুরাও বলেছে রোববার রাতে সরকারি বাহিনী তাদের উপর নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।
হাদি আবদুল্লাহ নামে এক বিদ্রোহী জানান, তারা এখন পর্যন্ত ২৬টি শিশু ও ২১ জন মহিলার লাশ খুঁজে পেয়েছেন এবং লাশগুলোর কোনো কোনোটির গলা এবং শরীর ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হয়েছে।
এদিকে বিদ্রোহীদের সংগঠন সিরিয়ান রেভ্যুলিউসন জেনারেল কমিশন (এসআরজিসি) এবং কার্ম আল-জাইতুনে বিদ্রোহীদের স্থানীয় সমন্বয় কমিটি এলসিসি রোববারের হামলায় মোট ৪৫ জন মারা গেছে বলে দাবি করেছে।
এসআরজিসি বলেছে, নিহতদের অনেককে জীবন্ত অবস্থায় পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে এবং কারো কারো ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা করা হয়েছে।
তবে সিরিয়ান সরকার এই ঘটনায় নিহতদের বরাবরের মত সশস্ত্র সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করেছে।
দেশটিতে ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা বলেছে, রোববার রাতের এই হামলার ফলে সোমবার একশটিরও বেশি পরিবার কার্ম আল-জাইতুন থেকে পালিয়ে গেছে।
হোমসে সরকারি বাহিনীর এই হামলার ঘটনা এমন একটি সময়ে ঘটল যখন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে জাতিসংঘ ও আরব লিগের প্রতিনিধিরা দামেস্কে তাদের দুই দিনের শান্তি মিশন শেষ করল।