‘গোহত্যা বা গো-পাচার হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ বা মন্দির ধ্বংসের সঙ্গে তুলনীয়!’

‘গোহত্যা বা গো-পাচার হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ বা মন্দির ধ্বংসের সঙ্গে তুলনীয়!’

cow hভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস-এর মুখপাত্র জিষ্ণু বসু বলেছেন, ‘গোহত্যা বা গো-পাচার কোনো হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ বা হিন্দু মন্দির ধ্বংসের সঙ্গে তুলনীয়!’ গতকাল শুক্রবার তিনি এ কথা বলেছেন

আর এটা তো সবার জানা যে আরএসএস’র বাইরে কিছু করার ক্ষমতা বা ইচ্ছা কোনোটাই মোদির নেই। আসলে আরএসএস’র দেখানো পথেই হাঁটছে বিজেপি সরকার।

ভারতের মোদি সরকারের নির্দেশে গরু পাচার রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সম্প্রতি বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে বিএসএফ-এর প্রায় ৩০ হাজার জওয়ান৷ ফলে টান পড়ছে বাংলাদেশের গোমাংসের জোগানে৷ মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, ট্যানারি, কসাইখানা, হাড় গুঁড়ো করার কারখানা ইত্যাদি মিলিয়ে গবাদি পশু সে দেশের অর্থনীতির ৩ শতাংশের চালিকাশক্তি৷ বছরে প্রায় ২০ লক্ষ গরু ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হয়৷ বার্ষিক ৬০০ মিলিয়ন ডলারের এই ব্যবসাকে ঢাকা ‘আইনি’ মনে করে৷ কিন্ত্ত বিজেপি-চালিত কেন্দ্র সরকার এটা বন্ধ করতে চায়৷ এ ক্ষেত্রে তাদের হিন্দুত্ববাদী ধাত্রী সংগঠন আরএসএস-এর পথেই হাঁটছে মোদির দল৷ শুক্রবারও পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস-এর মুখপাত্র জিষ্ণু বসু দাবি করেন, ‘গোহত্যা বা গো-পাচার কোনো হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ বা হিন্দু মন্দির ধ্বংসের সঙ্গে তুলনীয়!’

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নির্দেশমতো ছ’মাস ধরে দু’-একদিন অন্তর লাঠি-দড়ি নিয়ে ক্ষেত-খামার মাঠ-পুকুর জুড়ে অভিযান চালিয়েছে বিএসএফ৷ ৯০ হাজার গরু এবং ভারত-বাংলাদেশের ৪০০ পাচারকারীকে আটক করেছে তারা৷

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম স্বীকার করেছেন, ‘কোনো সন্দেহই নেই’ যে বাংলাদেশের গোমাংস ব্যবসা ও চামড়া শিল্পের ক্ষতি হচ্ছে৷ সেখানকার ১৯০টি ট্যানারির ৩০টিতে কাজ বন্ধ রয়েছে৷ গোমাংস রন্তানিকারক সংস্থা ‘বেঙ্গল মিট’ জানিয়েছে, তাদের আন্তর্জাতিক বরাতের ৭৫ শতাংশই বাতিল করতে হয়েছে৷

আন্তর্জাতিক