তরল কোকেন আমদানি অনুসন্ধানে ১০ সদস্যের টিম

তরল কোকেন আমদানি অনুসন্ধানে ১০ সদস্যের টিম

coken29চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সানফ্লাওয়ার তেলের নামে তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় ১০ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি করেছে নগর পুলিশ।  নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার কুসুম দেওয়ানকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে সিএমপি কমিশনার মোহা.আব্দুল জলিল মন্ডল এ আদেশ দেন।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার এস এম তানভির আরাফাত বিষয়টি ‍জানিয়েছেন।

কুসুম দেওয়ানের নেতৃত্বে কমিটিতে আছেন, নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার এস এম তানভির আরাফাত ও তিনজন সহকারি কমিশনার মো.কামরুজ্জামান, ফয়জুল ইসলাম ও জাহাঙ্গির আলম, কোতয়ালি জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার মো.মঈনউদ্দিন, সহকারি পুলিশ কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী ও এস এম নূরুল হুদা, বন্দর থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম, আকবর শাহ থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ, নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রউফ ও জাহেদুল ইসলাম।

অনুসন্ধান টিমের সদস্যদের নিয়ে শনিবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় জরুরি বৈঠকে বসেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য।

সানফ্লাওয়ার তেলের নামে তরল কোকেন আমদানির মামলায় এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরা হলেন, গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে আজাদ, একটি ডেভেলপার কোম্পানির কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল এবং সানফ্লাওয়ার তেলের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল।

এদের মধ্যে আতিকুর রহমান, একে আজাদ ও মোস্তফা কামালকে ১০ দিনের রিমান্ডে এবং সোহেলকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) আতিকুর, আজাদ ও মোস্তফা কামালের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। তাদের ওইদিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ডিবি।

আর সোহেলকে ৩০ জুন রিমান্ডে নেবার আদেশ দেন আদালত। তাকে রোববার (৫ জুলাই) ডিবি নিজেদের হেফাজতে নেবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

হেফাজতে নেয়া তিনজনকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের ‍চার সদস্যের একটি টিম গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

নগর পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তরল কোকেন সন্দেহে গত ৬ জুন রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার বন্দরে সিলগালা করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ৮ জুন এটি খুলে ১০৭টি ড্রামের প্রতিটিতে ১৮৫ কেজি করে সানফ্লাওয়ার তেল পাওয়া যায়। তেলের নমুনা প্রাথমিক পরীক্ষা করে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলে উন্নত ল্যাবে কেমিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

২৭ জুন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, কেমিক্যাল পরীক্ষায় একটি ড্রামে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

চালানটি নগরীর খাতুনগঞ্জের খান জাহান আলী লিমিটেডের নামে বন্দরে আনা হয়। কনটেইনারটি সিলগালা করার আগে নগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে খানজাহান আলী লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছিল।

২৮ জুন নগরীর বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ এর ১(খ) ধারায় জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও সোহেলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বাংলাদেশ