ইস্পাত খাতে সক্ষমতা অর্জনে তুরস্ক সহায়তা দেবে

ইস্পাত খাতে সক্ষমতা অর্জনে তুরস্ক সহায়তা দেবে

বাংলাদেশের ইস্পাত খাতে সক্ষমতা অর্জনে তুরস্ক আধুনিক কারিগরি সহায়তা দেবে। এছাড়া এ খাতে যৌথ বিনিয়োগেও আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি।

রোববার বিকেলে টার্কিশ স্টিল এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নামিক একিনসি বাংলানিউজসহ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে ১৯৭১ সাল থেকে তুরস্কের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে নামিক একিনসি বলেন, দুই দেশের মধ্যে আরও অধিক রপ্তানি-আমদানির মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাই।

তিনি বলেন, অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদনে তুরস্ক ইউরোপে দ্বিতীয় এবং বিশ্বে দশম বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ। ১৮০টিরও অধিক দেশে এ পণ্য রপ্তানি করে থাকে।

তিনি জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের এ ইস্পাত খাতকে আরও প্রসার করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা এ জন্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলংকা সফর করছেন।

এইচআর/সিআর কয়েল, প্লেটস, বিলেট, রড, কোল্ড শিটস, টিউবস, পাইপসহ বিভিন্ন ইস্পাতপণ্য উৎপাদনে তুরস্ক ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে বলেও তিনি তথ্য প্রকাশ করেন।

নামিক একিনসি ইস্পাতশিল্প বিকাশে চট্টগ্রামকে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে এ খাতের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন তথ্য ও কারিগরি জ্ঞান দেওয়া-নেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন যা দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন রচনা করবেন বলেও জানান।

এদিকে এর আগে দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর একটি হোটেলে টার্কিশ স্টিল এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নামিক একিনসির নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধির সঙ্গে চট্টগ্রাম চেম্বার নেতৃবৃন্দ ও চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় স্টিল খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

টার্কিশ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বিশ্বস্ত ও মুসলিম ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে তুরস্ক ও বাংলাদেশের সম্পর্ক সুপ্রাচীন। কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে উভয় দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক উন্নয়নে গভীরভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি ইস্পাত খাতে বিশ্বে তুরস্কের সফলতা অর্জনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় এ খাতের বিকাশে সর্বশেষ প্রযুক্তি হস্তান্তরের আহ্বান জানান। তিনি এদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় সমৃদ্ধ ইস্পাল খাতে যৌথ বা একক তুর্কি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন।

এছাড়া তিনি বেসরকারি পর্যায়ে ইস্পাত খাতের অভিজ্ঞতা, কারিগরি দক্ষতা ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে একটি কাঠামো তৈরি করার লক্ষ্যে সফরকারী অতিথিদের অনুরোধ জানান। মতবিনিময় শেষে সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থ বাণিজ্য