মহাকাশে প্রভাব বিস্তার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০১৫ সালের মধ্যে একশ’ রকেট ও একশ’ স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) উৎক্ষেপণ করবে চীন।
চীনের মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যেই তারা ‘একশ’ রকেট ও একশ’ স্যাটেলাইট’ পাঠানোর মিশন সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা করেছেন।
চীনের মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি করপোরেশনের উপ মহাব্যবস্থাপক ঝ্যাং জিয়ানহেং জানান, এই মিশন সম্পূর্ণ করতে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২০টি করে উৎক্ষেপণ করতে করা হবে।
চীন মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ ও রকেট প্রেরণের এই বিশেষ কর্মসূচি শূরু করেছে সবে গত বছর। শুরুর বছরেই তারা ১৯টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। আর সব ক’টি উৎক্ষেপণেই স্যাটেলাইটগুলো সফলভাবে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে তারা।
চীনের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এ সময়ই সবচে বেশি সফল স্যাটেলাইট উক্ষেপণ করা হয়। এমনকি এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে। যেখানে ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ১৮টি উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করে। একই সময় রাশিয়া উৎক্ষেপণ করে ৩৬টি।
ঝ্যাং আরো জানিয়েছেন, চলতি বছরে শেনঝু-৯ মহাকাশ যানসহ ২১টি রকেটে করে ৩০টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে চীন।
মহাকাশ যান তিয়াংগং-১ এর সঙ্গে শেনঝু-৯ যানটি আগামী জুন-আগস্টে উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে। সংকেত প্রেরণ ও স্টেশনে ভেড়ানোর পরীক্ষামূলক মিশন হবে এটি।
গত বছর মহাকাশে রকেট ভেড়ানোর (ডকিং) একটি মিশন পরিচালনা করে চীন। তাদের লক্ষ্য ২০২০ সালের মধ্যে নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করা।
ঝ্যাং জানিয়েছেন, ২০১১ সালের মিশনের জন্য তারা এক হাজার ৫শ’ ৮৭ কোটি ডলার (১০ হাজার কোটি ইউয়ান) বরাদ্দ পেয়েছেন। এতে করে তাদের মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার কোটি ইউয়ান।
প্রসঙ্গত, চীনের এই মহাকাশ গবেষণার উচ্চাভিলাষকে ভাল চোখে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, মহাকাশ গবেষণার আড়ালে পশ্চিমের বিরুদ্ধে মহাকাশ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি।